অফশোর ব্যাংকিং আইন দেশে বিদেশি মুদ্রার প্রবাহ বাড়াবে: অর্থমন্ত্রী
সম্প্রতি পাস হওয়া অফশোর ব্যাংকিং আইন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, "অফশোর ব্যাংকিং আইন করার পর বিদেশি সঞ্চয়কারী ও বিনিয়োগকারীদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন পক্ষের সাথে ইতিমধ্যে অনেকে যোগাযোগ করেছে। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বাংলাদেশের আইন তাদের পছন্দ হয়েছে। ফলে শীঘ্রই বাংলাদেশে বিদেশ থেকে সঞ্চয় বাড়বে, অর্থাৎ দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়বে।"
আজ রোববার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-বিআইডিএস আয়োজিত 'অ্যানপ্যাকিং দ্য ইকোনমিক ম্যানিফেস্টো অফ দ্য আওয়ামী লীগ: ট্রেন্ডস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জস ফর টুমোরোজ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনারের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইডিএস কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক বিনায়ক সেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীসহ অর্থনীতিবিদ ও বিভিন্ন খাতের গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় অফশোর ব্যাংকিং আইন-২০২৪ এর খসড়া চুড়ান্ত অনুমোদন পায়। এরপর ৫ মার্চ জাতীয় সংসদে বিলটি পাস করা হয়েছে।
এই আইনে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে বিদেশিরা যে আমানত রাখবে তার মুনাফার ওপর সরকার কোনো ধরনের কর নেবে না। আমানতকারী যখন খুশি তার আমানত ফেরত নিতে পারবেন। এ ধরনের বেশ কিছু সুবিধা দিয়েছে সরকার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, "এক সময় কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছিল। কিছু লোক বলতে শুরু করেছিল ফরেন এক্সচেঞ্জ কোথায়? বাংলাদেশ শ্রীলংকা হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। বৈদেশিক মুদ্রা আসতে শুরু করেছে। অফশোর ব্যাংকিং দেশে আগেও ছিল। কিন্তু আইন ছিল না। আস্থার জন্য, নিরাপত্তার জন্য আইনের দরকার আছে। যে কারণে সরকার আইন করেছে। মানুষ আস্থা পাচ্ছে। এখন এর ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, আগামীতে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে বেছে নেবে।"
অর্থমন্ত্রী বলেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার কোনো সংকট থাকবে না। এখন বাংলাদেশ পরবর্তী ধাপের জন্য এগোচ্ছে।