ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ ৬, অভিযোগ এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে
ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ছয় জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এস আলম গ্রুপের লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ওপর সশস্ত্র এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১১ আগস্ট) ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হচ্ছেন: শফিউল্লাহ, আবদুল্লাহ আল মামুন, আব্দুর রহমান, বাকিবিল্লাহ। বাকি দুইজনের পরিচয় জানা যায়নি। তারা বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ৬ আগস্ট এস আলম গ্রুপের নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের ব্যাংক থেকে বের করে দেন বিক্ষুব্ধ ব্যাংকাররা।
এরপর গত ৭ ও ৮ আগস্ট ব্যাংকারদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এ সময় এস আলমের নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদেরকে ব্যাংক থেকে বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
হামলার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংকের এসএভিপি ড. শওকত আলী বলেন, 'গতকাল জানতে পারি, এস আলমের বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যাংকের যারা আছেন, যারা ব্যাংকটিকে লুটপাট করেছেন, তারা একত্রিত হয়ে তাদের লোকদেরই ব্যাংকে বসাবেন। এ তথ্য পেয়ে তারা যাতে ব্যাংকে না ঢুকতে পারে, সেজন্য আমরা ব্যাংকের সামনে অবস্থান নিই।
'একপর্যায়ে এস আলমের লোকজন সিটি সেন্টারে অবস্থান নেয়। তারা মিছিল নিয়ে প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চায়। তখন ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা তাদের প্রতিহত করতে গেলে এস আলমের লোকজন তাদের উদ্দেশ্য গুলি চালায়। তাতে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন। তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ব্যাংকাররা সে সময় প্রতিরোধ করলে তারা (আক্রমণকারীরা) পালিয়ে যায়।'
সরকার পতনের পর থেকে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা ব্যাংকটির পর্ষদ পুনর্গঠনের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে 'লুটেরাদের' বের করে দেওয়ার দাবি জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) কায়সার আলী।
গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সুবিধাবঞ্চিত কর্মকর্তারা বিক্ষোভ করেন। ওই দিন ব্যাংকটিতে এস আলমের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
এর আগে ব্যাংকটির কালেক্টিভ বার্গেইনিং এজেন্ট-এর (সিবিএ) শীর্ষ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেছিলেন, ২০১৭ সালের পরে যত এক্সিকিউটিভ এসেছেন, তারা আর এই ব্যাংকে ঢুকতে পারবেন না।
আরও বলা হয়, ২০১৭ সালের পর থেকে সমস্ত অবৈধ পরীক্ষাবিহীন নিয়োগ বাতিল করা হবে। একইসঙ্গে এই সময়ে যাদের অবৈধভাবে চাকরি বাতিল করা হয়েছে, তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া যারা গত সাত বছরে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের যথাযথ পদোন্নতি দেওয়া হবে।