আইএমএফ-এর চলমান ঋণ কর্মসূচির বাইরে আরও ৭৫০ মিলিয়ন ডলার চাইল বাংলাদেশ
অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির বাইরে অতিরিক্ত ৭৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ।
এ ঋণ অনুমোদন পেলে আইএমএফ থেকে বাংলাদেশের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫.৩ বিলিয়ন ডলার।
তবে এ ঋণ পেতে হলে বাংলাদেশকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। যদিও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আগামী জুন পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম বাড়াতে রাজি নয় সরকার।
চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড়ের বিষয়ে স্টাফ লেভেল এগ্রিমেন্ট হয়েছে বলে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আইএমএফ।
বর্তমানে আইএমএফ মিশন বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এটি ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচির বাইরে বাংলাদেশ ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব দেয়। এর বিপরীতে কঠিন শর্তসাপেক্ষে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
২০২৩ সালে আইএমএফের সঙ্গে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচি শুরু করে বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত তিন কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার ঋণ ছাড় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালের মধ্যে ঋণের পুরো অর্থ পাওয়ার কথা রয়েছে।
চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং নতুন ঋণ বিষয়ে আলোচনা করতে ৩ ডিসেম্বর থেকে আইএমএফের গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করছে।