গত ৬ মাসের প্রতিকূলতার মধ্যেও শক্তিশালী কার্যাদেশ পেয়েছে পোশাক খাত
![](https://www.tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2025/02/14/rmg-grows-on-strong-orders.jpg)
অদম্য রয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প (আরএমজি), জানুয়ারি পর্যন্ত গত ছয় মাস ধরে অব্যাহত রপ্তানির কার্যাদেশও পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো প্রধান বাজারগুলোয় পোশাকের খুচরা বিক্রেতা ব্র্যান্ডগুলোর ভোক্তাচাহিদা বাড়ায়— এসব ক্রেতারা ক্রয়ও বাড়াচ্ছে। এছাড়া চীন থেকে রপ্তানির কার্যাদেশের স্থানান্তর ঘটছে, যার পেছনে রয়েছে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শুল্কারোপের পরিকল্পনা। এ ঘটনাও বাংলাদেশের পোশাকখাতকে বাড়তি সহায়তা করেছে।
রপ্তানি কার্যাদেশের বিদ্যমান প্রক্ষেপণ অনুযায়ী— পোশাকশিল্পের ব্যবসায়ী নেতারা ২০২৫ সালে ১০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছেন। তবে রপ্তানির এই চাঙ্গাভাব অপ্রত্যাশিত নয়, কারণ বাংলাদেশের কারখানাগুলো নিট ও ওভেন দুই ধরনের আউটারওয়্যার উৎপাদনে বিশেষায়িত, যার এখন উচ্চ চাহিদা চলছে। গত বছরের ৫ আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও শ্রম অসন্তোষের আশঙ্কা কাজ করছে, এরমধ্যেও ধারাবাহিকভাবে কার্যাদেশ বা অর্ডার আসাটাই ছিল অপ্রত্যাশিত। তবে সুখবর হলো — তেমনটাই ঘটেছে।
অদম্যতাই শক্তি, তবে উদ্বেগের কারণ রয়েই গেছে
রেজা গ্রুপের চেয়ারম্যান এ কে এম শহীদ রেজা বলেন, 'বিক্ষোভ বা অন্য কোনো কারণে যদি আমরা একটা কর্মদিবস হারাই– তাহলে রাতে রাতে বা শুক্রবারে কাজ করে হলেও সেটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। আমরা খুবই অদম্য।' রেজার প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারগুলোয় ফ্যাশন পণ্য সরবরাহ করে। তিনি আরও বলেন, ক্রেতা বা বায়ারদের প্রতিনিধিদের বেশিরভাগই হচ্ছেন– চীনা, ভারতীয় বা শ্রীলঙ্কান, এদেশের বাজার সম্পর্কে যাদের ভালো জানাশোনা রয়েছে, এদেশ থেকে পণ্য সংগ্রহের ব্যাপারেও তাদের আস্থা রয়েছে।
তবে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলেও—- রপ্তানিকারকরা জ্বালানি সরবরাহে ব্যাঘাত থেকে শুরু করে ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়িক ব্যয়, নীতির অসঙ্গতি এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ— এমন বিভিন্ন ঝুঁকি সম্পর্কেও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।
কিছুসংখ্যক বড় ক্রেতারা এখন ঢাকার আশুলিয়ায় অবস্থিত কারখানাগুলোয় অর্ডার দিতে চাচ্ছে না, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যার কথা উল্লেখ করে। এছাড়া এসব কারখানায় গ্যাসের সংকটও আছে, যাতে ব্যাহত হয়েছে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা।
রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান বাবু টিবিএসকে বলেন, সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি প্রক্ষেপণ দেয় এমন ক্রেতাদের থেকে আগামী জুন পর্যন্ত রপ্তানির কার্যাদেশ পেয়েছে তাঁর প্রতিষ্ঠান। তবে ফাস্ট ফ্যাশন সেগমেন্টের সরবরাহকারীরা শুধু এপ্রিল পর্যন্ত কার্যাদেশ পেয়েছে। তিনি বলেন, 'এখাতে অর্ডারের সার্বিক অবস্থা খারাপ না। তবে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মুনাফা কম হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সরকারের থেকে সুস্পষ্ট একটি নীতিগত দিকনির্দেশনার অভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'অনেক ক্রেতা ৬ মাস আগে অর্ডার দিয়েছে। এই সময়ে সরকার যদি ইউটিলিটি বিল বা মজুরি বাড়ায়— তাতে ব্যবসাগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।'
রেজা জানান, গ্যাসের স্বল্পতাও একটি বড় মাথাব্যথার কারণ ব্যবসায়ীদের। বিশেষত ভার্টিক্যালি ইন্টিগ্রেটেড ফ্যাক্টরিগুলোর জন্য যারা নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, 'সরকার যদি পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে হয়তো আর কারখানাগুলো সুতা বা ফেব্রিক আমদানিতে যাবে না। এতে করে, আরএমজিতে স্থানীয় মূল্য সংযোজন আরও বাড়বে।'
শাশা ডেনিমস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ বলেন, আমাদের কোম্পানি আগামী চার মাসের অর্ডার পেয়েছে, তবে সব কারখানা একই অবস্থায় নেই। 'বেশিরভাগ কোম্পানি ভালো অর্ডারের মুখ দেখছে, কিন্তু আশুলিয়ার কারখানাগুলো ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে।' তিনি গ্যাস সরবরাহের সংকট ও আর্থিক টানাপোড়েনের কথা উল্লেখ করেন, যা এই এলাকায় অবস্থিত উৎপাদনকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
কিউট ড্রেস ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ এইচ এম মুস্তাফিজ জানান, আগামী চার মাস পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদনের অর্ডার পেয়েছেন তারা, এছাড়া জুনের পরেও অর্ডার দেওয়ার বিষয়ে ক্রেতারা খোঁজখবর নিচ্ছে। তিনি বলেন, 'গত বছরে আমরা ৭৩ লাখ ডলার মূল্যের পোশাকপণ্য রপ্তানি করি। আর ২০২৫ সালে আমরা ১০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ করছি।'
জায়ান্ট গ্রুপের পরিচালক এস এম মাজেদুর রহিম বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানও পূর্ণ সক্ষমতায় পরিচালিত হচ্ছে। জুলাই পর্যন্ত এভাবে পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদনের কার্যাদেশ থাকার আশা করছেন তারা।
তিনি বলেন, 'আগস্ট লিন সিজন হওয়ায়— অর্ডার কিছুটা হয়তো কমবে, কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে আবার ফুল ক্যাপাসিটির অর্ডার আসতে থাকবে, এমন পূর্বাভাষই দিচ্ছে বায়াররা।'
গত বছরে গ্রুপটি রপ্তানি আয় করেছে সাড়ে ৭ কোটি মার্কিন ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২৫ শতাংশ। যার চালিকাশক্তি ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের বায়ারদের থেকে বাড়তি কার্যাদেশ।
জায়ান্ট গ্রুপের উৎপাদন সক্ষমতার ৬০ শতাংশের বেশি কাজে লাগানো হয় মার্কিন কোম্পানিগুলোর অর্ডার পূরণে। মাজেদুর রহিম বলেন, 'কোম্পানির জন্য গত বছর ছিল একটা এক্সেপশনাল বিজনেস ইয়ার।' এবছরেও ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
টিকে থাকার সংগ্রামে আশুলিয়ার কারখানাগুলো
এদিকে আশুলিয়ায়, ঘন ঘন শ্রম অসন্তোষ, এবং সেকারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায়—---পোশাক শিল্পঘন এই অঞ্চল বায়ারদের কাছে আকর্ষণ হারিয়েছে। এসএম সোর্সিং-এর সিইও মির্জা শামস মাহমুদ শক্তি বলেন, 'আশুলিয়া থেকে তাদের অর্ডার সরিয়ে নিতে কিছু বায়ার ইতোমধ্যেই এ অঞ্চলের ঝুঁকি মূল্যায়ন করে একটি ম্যাপ তৈরি করেছে।'
তবে আশুলিয়ায় কারখানা থাকার পরেও তাঁর কোম্পানি বর্তমানে পূর্ণ সক্ষমতায় চালু আছে, কারণ তারা ডিসকাউন্টে খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রমোশনাল পণ্য উৎপাদন করেন।
শামস বলেন, 'ডিসকাউন্ট রিটেইলারদের সাথে কাজ করাটা খুব চ্যালেঞ্জিং, কারণ প্রতিবছরই তারা দাম কমানোর চেষ্টা করে। এই অবস্থায়, রপ্তানিকারকদেরও তাদের উৎপাদন দক্ষতায় সে অনুযায়ী উন্নতি এনে মানিয়ে চলতে হয়।'
জুন-পর্যন্ত ফুল ক্যাপাসিটির বুকিং থাকায়— চলতি বছরে তাঁর কোম্পানির রপ্তানি ১০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছানোর বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সামগ্রিক ব্যবসায়িক প্রবণতার কথা বিচার-বিশ্লেষণের পরে তিনি মনে করছেন, শিল্পাঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে এইখাতে ব্যবসা আরও বাড়বে।
স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, আগামী ছয় মাসের জন্য ফুল ক্যাপাসিটির অর্ডার বুকিং করতে পেরেছেন তাঁরা। এরপরেও অতিরিক্ত কাজের চাপ সামাল দিতে কিছু কার্যাদেশ অন্য কারখানায় দেওয়া হয়। গত বছরের শেষদিকে কোম্পানিটি আরেকটি নতুন উৎপাদন ইউনিট চালু করেছে বলেও জানান তিনি।
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ১০০টিরও বেশি কারখানা কার্যক্রম শুরু করেছে, অন্যদিকে আর্থিক সংকটের কারণে একই সংখ্যক কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
অর্ধেক সক্ষমতায় চলছে টেক্সটাইল কারখানা
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে বেশিরভাগ টেক্সটাইল ও স্পিনিং মিল ৫০ শতাংশ সক্ষমতায় চালু আছে। যদিও তাদের দেশের নিটওয়্যার কারখানাগুলোর ১০০ শতাংশ সুতা ও কাপড়ের চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা আছে। ওভেন কারখানার চাহিদাপূরণের সক্ষমতা ৫০ শতাংশের উপরে।
বাংলাদেশের জ্বালানি সংকট ভারতের টেক্সটাইল শিল্পের জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে তারা। এতে দেশটিতে প্রায় এক লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান রাসেল। ফলে বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্প যখন গভীর সংকটে— তখন ভারতের টেক্সটাইল শিল্প বড় প্রবৃদ্ধির মুখ দেখেছে।
এজন্য বিগত সরকারের দায় রয়েছে। রাসেল বলেন, 'স্থানীয় শিল্প ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিরুদ্ধে গিয়ে নীতির বাস্তবায়ন করা হয়, যা রীতিমতো অকল্পনীয়, অবাস্তব ও অন্যায়। আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার স্থানীয় শিল্পকে রক্ষা করতে নীতিগত পদক্ষেপ নেবে।'
তিনি বলেন, 'সরকার সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করছে। কস্ট-বেনিফিটের কথা চিন্তা করলে (পোশাক শিল্পের জন্যও) এটা আমদানিও করা যায়।'
এদিকে, চলতি মূলধন কমছে বস্ত্রশিল্প মালিকদের, কিন্তু টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ব্যাংকগুলোও তাঁদেরকে সমর্থন দিতে পারছে না। রাসেল বলেন, সরকার যদি দরকারি আর্থিক সহায়তা না দেয়— তাহলে বাদবাকী প্রতিষ্ঠানগুলোও আগামীতে টিকে থাকতে পারবে না।
সর্বোত্তম সমাধানের আশা
পোশাকখাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন— বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান টিবিএসকে বলেন, গ্যাস–বিদ্যুতের সংকট, শ্রম অসন্তোষ, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মতো নানান প্রতিকূলতার মুখেও মাঝারি ধরনের প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারা নিয়ে এই মুহূর্তে সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ।
২০২৫ সালের জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি এসময়ে পশ্চিমা বাজারগুলোয়— ভোক্তা চাহিদা বাড়া, মূল্যস্ফীতি ও সুদহার কমার মতো ইতিবাচক ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের সুফলও বাংলাদেশ পাবে বলে তিনি মনে করছেন। তবে এজন্য অবশ্যই দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির উন্নতি হতে হবে।
তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করে টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিবও মনে করছেন যে, চীন থেকে অর্ডার অন্য দেশে যাওয়ার সুবাদে বাংলাদেশেরও বৈশ্বিক রপ্তানির বাড়ার সুযোগ দেখা দিয়েছে।
তবে সরকারি সহায়তার অভাব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'শিল্পের চাহিদা অনুসারে, নীতি সমন্বয়ের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না সরকারের। আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, এগুলো পর্যালোচনা করে দেখা দরকার।' সংস্কার ছাড়া এ শিল্পেও মন্দাবস্থা তৈরি হবে বলে সতর্ক করেন রাকিব। এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, দেশটি আইএমএফের প্রেসক্রাইব করা শর্ত না মেনেই ব্যাপক অর্থনৈতিক বিকাশ অর্জন করেছে, বাংলাদেশরও উচিৎ বিকল্প কৌশলের সন্ধান করা।
বিকেএমইএ'র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, গত কয়েক মাসে কিছু অর্ডার বাড়লেও— উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি ও সে তুলনায় রপ্তানি পণ্যের দাম না বাড়ার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন রপ্তানিকারকরা। ইউটিলিটি পরিষেবাগুলো যথেষ্ট পরিমাণে না পাওয়ার কারণেও বায়ারদের দেওয়া রপ্তানির লিড টাইম পূরণে পোশাকখাতের ব্যবসায়ীরা হিমশিম খাচ্ছেন।
এদিকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক না হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশি বায়ারদের আস্থা অর্জনের জন্য এটা অপরিহার্য।
আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা সংস্থা– ওয়াজির অ্যাডভাইজর্স প্রাইভেট লিমিটেড এর তথ্যমতে, ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বৈশ্বিক পোশাক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বাড়তে দেখা গেছে, একইসময়ে এটি স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল যুক্তরাজ্যে, আর কমেছিল জাপানে।
গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাকপণ্যের দোকানগুলোয় ২০২৩ সালের একই মাসের চেয়ে বিক্রিবাট্টা বেড়েছে ৬ শতাংশ। ২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষে আগের বছরের চেয়ে বিক্রি ১ শতাংশ বেড়েছে দেশটিতে।