পানির দাম ২০% বাড়ানোর প্রস্তাব ওয়াসার
আইনানুযায়ী ওয়াসা এক বছরে মোট ৫ শতাংশের বেশি হারে পানির দাম বাড়াতে পারে না। কিন্তু ঢাকা শহরের কলের পানি নিয়ে নানা অভিযোগ থাকার পরও আজ প্রতি হাজার লিটার পানিতে ২০ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব রেখেছে ওয়াসা।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক বৈঠকের পর দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান।
তাকসিম এ খান বলেন, "সরকারি ভর্তুকি কমাতে পানির দাম ন্যূনতম ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব রেখেছি আমরা। বর্তমানে আমাদের উৎপাদন খরচ ২৫টাকা, আমরা বিক্রি করি ১৫.১৮ টাকায়। ভর্তুকির ওপর নির্ভর করে কোনো প্রতিষ্ঠানই চলতে পারে না,"
"বর্তমানে আবাসিক ব্যবহারের জন্য প্রতি হাজার লিটার পানির দাম ১৫.১৮ টাকা; ওয়াসার প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ২০ শতাংশ দাম বাড়লে তা হবে ১৮.২৫ টাকা। বাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি হাজার লিটার পানির দাম ৪২ টাকা; ওয়াসার প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ২০ শতাংশ দাম বাড়লে তা হবে ৫০.৪ টাকা," বলেন তিনি
কোভিড মহামারির শুরুর দিকে, ২০২১ সালের ২৪ মে, যে সময়ে লকডাউনের প্রভাব পড়েছিল মানুষের আয়ের ওপর, সে সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে পানি সংকট নিয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিয়েই পানির দাম ৫ শতাংশ বাড়ায় ওয়াসা।
২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে এ দাম কার্যকর হয়।
২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ১৩ বছরে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য পানির শুল্ক বাড়ানো হয় ১৮১ শতাংশ। ২০০৯ সালে প্রতি ইউনিট ৫.৭৫ টাকা থেকে ২০২১ সালে এসে তা ১৫.১৮ টাকা হয়।
এর আগে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য পানির দাম বাড়ায় ঢাকা ওয়াসা। সে সময় আবাসিক ব্যবহারের জন্য পানির দাম ইউনিটপ্রতি (১০০০ লিটারে) ১৪.৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে এ দাম কার্যকর হয়।
ওয়াসা কর্তৃপক্ষ আইন ১৯৯৬ এর ২২ ধারা অনুযায়ী, সরকারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বছরপ্রতি পানির শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়াতে পারে ঢাকা ওয়াসা।
সম্প্রতি রাজশাহী ওয়াসাও পানির দাম বাড়িয়েছে। আবাসিক ব্যবহারকারীদের জন্য ইউনিটপ্রতি দাম বেড়ে ২.২৭ টাকা থেকে ৬.৮১ টাকা হয়েছে, বাণিজ্যিক ব্যবহারকারীদের জন্য ৪.৫৪ টাকা থেকে দাম বেড়ে হয়েছে ১৩.৬৬ টাকা।