প্রতিযোগিতামূলক বাজার না থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে না: প্রতিযোগিতা কমিশন চেয়ারম্যান
প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি করতে না পারলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন মোঃ মফিজুল ইসলাম।
"প্রতিযোগিতামূলক বাজারের পরিবর্তে যদি মুষ্ঠিমেয় কিছু লোকের কাছে ব্যবসা চলে যায় তাহলে আমরা সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হব। দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
"প্রতিযোগিতামূলক বাজার নিশ্চিত করলে দেশের জিডিপি বাড়বে এবং কমমূল্যে মানুষ পণ্য ক্রয় করতে পাবে", বলেন তিনি।
ব্যবসা বাণিজ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতকরণে অংশীজনের ভূমিকা শীর্ষক চট্টগ্রাম বিভাগীয় সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মোঃ আশরাফ উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে ব্যবসা-বাণিজ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। একই সাথে প্রতিযোগিতা বিরোধী কর্মকান্ড প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল করা।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা সবাই বাজার ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত। সরকার জনগণের স্বার্থে প্রতিযোগিতমূলক আইন প্রনয়ণ করেছে। এই আইন বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন।
তিনি বলেন, একটি দেশের অগ্রগতি নির্ভর করে ব্যবসা বাণিজ্যের উপর। তাই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে সর্বোচ্চ ব্যবসায়ী পর্যন্ত সবাইকে ব্যবসার সুষ্ঠ পরিবেশ দিতে হবে। আর সেই ব্যবসা বাণিজ্যকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে এই কমিশন।
জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম দেশ। তাই পৃথিবীর অনেক দেশের টার্গেট বাংলাদেশের বাজার দখল করা। একসময় আমাদের দেশে অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি হতো। অনেক অনেক পণ্যে আমরা স্বনির্ভর হচ্ছি। তাই দেশীয় উদ্যোক্তাদের নায্যমূল্য পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে", বলেন তিনি।
চিটাগাং চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম অসম প্রতিযোগিতার শিকার। সারা বাংলাদেশ থেকে যেখানে প্রতিট্রাক গাড়ি ২৪ টনের বেশি পণ্য পরিবহন করতে পারে।
"সেখানে চট্টগ্রাম থেকে ১৩ টনের বেশি পণ্য নিয়ে কেন গাড়ি দেশের কোথাও যেতে পারে না। এতে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিযোগিতা কমিশনকে কাজ করতে হবে।"
সেমিনারে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্যামল নাথ, খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছির কাজী, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান, নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাজিমুল হায়দার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমীন, চিটগাং উইম্যান চেম্বারের সহ সভাপতি মুনাল মাহবুব, কক্সবাজার চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী, বান্দরবান চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।