আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস কেন পালন করা হয়?
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস আজ। প্রতি বছরের মতো এবারও সারা বিশ্বে ১৯ নভেম্বর পালিত হচ্ছে দিনটি। সমাজ, সম্প্রদায় ও নিজেদের পরিবারে পুরুষের অবদান, তাদের সুস্থতা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং তাদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার লক্ষ্যে উদযাপিত হয় এই দিবস।
১৯৯৪ সালে পুরুষ দিবস পালনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও ষাটের দশক থেকেই এ নিয়ে লেখালেখি শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে আমেরিকান সাংবাদিক জন পি হ্যারিস এই দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। পরবর্তীতে নব্বইয়ের দশকে ১৯ নভেম্বরকে বিশ্বব্যাপী উদযাপন করা শুরু হয়।
১৯৯৯ সালে ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ড. জেরোমে টিলুকসিং তার পিতার জন্মবার্ষিকী স্মরণে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উদযাপন করেন। পুরুষের উদ্বেগের বিষয়গুলোকে সামনে আনতে এই দিনটিকে ব্যবহারের জন্য সবাইকে উৎসাহিত করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস মূলত ৬টি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে তৈরি। কর্মক্ষেত্রে অবদানের পাশাপাশি সমাজ, সম্প্রদায়, পরিবার, বিবাহ, শিশু যত্ন এবং পরিবেশে পুরুষদের অবদান উদযাপিত হয় এদিন। এছাড়া, পুরুষের সামাজিক, মানসিক, শারীরিক এবং আধ্যাত্মিক সুস্থতার যত্ন নেওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচিত হয় এমনকি, নানা ক্ষেত্রে তাদের বৈষম্যের শিকার হওয়ার বিষয়ও তুলে ধরা হয় এদিন।
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস লিঙ্গ সমতার কথা বলে। তাছাড়া, একটি উন্নত ও নিরাপদ বিশ্ব তৈরির লক্ষ্যেও পালিত হয় দিনটি। পুরুষ দিবসের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো মৌলিক মানবিক মূল্যবোধ এবং পুরুষদের সচেতনতা প্রচার করা।
এবারের আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে 'নারী ও পুরুষের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি'।
এই দিনটি সারা বিশ্বে অনুষ্ঠান এবং সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে পালিত হয়।
- সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস