করোনার ওষুধ ‘রেমডেসিভির’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুর রোগীদের চিকিৎসায় পরীক্ষামূলক ওষুধ 'রেমডেসিভির' ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির দ্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। নিউইয়র্ক পোস্ট এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার হোয়াইট হাউজের দৈনিক সংবাদ সম্মেলনে ওষুধটি প্রয়োগের অনুমতি ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন মার্কিন খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কমিশনার স্টিফেন হান।
এসময় স্টিফেন হান জানান, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে যেসব রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হবেন তাদের চিকিৎসায় এখন থেকে রেমডিসিভির ব্যবহার করা যাবে।
এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ পুরো বিশ্বে দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। জীবাণুরোধী ওষুধটি মূলত ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
এর আগে ওষুধটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর অনেক রোগীকে দ্রুত আরোগ্যলাভ করতে দেখা যায়। আবার চলমান বিশ্ব মহামারির উৎস কোভিড-১৯ ভাইরাস ঠেকাতেও যেসব ওষুধ কিছুটা সফল হয়েছে, রেমডিসিভির তাদের মধ্যে প্রথম ওষুধ।
এর আগে মার্কিন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত এক গবেষণায়- গিলিয়াড সায়েন্স নামক কোম্পানির তৈরি ওষুধটির ব্যবহারে রোগীদের সেরে ওঠার সময় ৩১ শতাংশ হ্রাস পায় বলে প্রমাণিত হয়। ওষুধ নেওয়া রোগীরা গড়ে চারদিনেই সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এরপরে এফডিএ ওষুধটি নিয়ে আরও পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখেছে। সাধারণ পরিস্থিতিতে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন সহজে কোনো প্রাণঘাতী রোগের পরীক্ষামূলক ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দেয় না। কিন্তু এখন জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনা করে এফডিএ তাদের মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া শিথিল করে এই অনুমোদন দিল।
এই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যখাতের বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ইবোলার চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডিসিভিরকে করোনাভাইরাস নির্মূলের জাদুকরী উপায় হিসেবে দেখা উচিত হবে না।
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১ লাখেরও বেশি। এছাড়া শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৭৭৬ জনে।