কোভিড টিকাপ্রাপ্তরাও জীবাণু ছড়াতে পারে: ব্রিটিশ জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ
পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে প্রথম কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে যুক্তরাজ্য। তারপরও সংক্রমণ বিস্তার নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-প্রধান কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানিয়েছেন, টিকাপ্রাপ্তরাও কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাদের প্রতি ঘোষিত লকডাউন বিধিনিষেধ মেনে চলার অনুরোধ করেন তিনি।
ব্রিটিশ দৈনিক সানডে টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক লেখায় অধ্যাপক জনাথন ভ্যান-ট্যাম গুরুত্ব দিয়ে বলেন, "বিজ্ঞানীরা এখনও সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের প্রভাব সম্পর্কে জানেন না। তাই সতর্কতা শিথিল করা উচিৎ হবে না।"
তবে টিকাদানের কারণে গ্রহীতাদের মধ্যে সংক্রমণ হার খুব শিগগির কমে আসবে, বলেও আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে যুক্তরাজ্যের গণস্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, এপর্যন্ত ৮০ বছরের বেশি বয়সের বয়োবৃদ্ধদের ৭৫ শতাংশ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন।
ইতোপূর্বে, যুক্তরাজ্যে জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন পায় ফাইজার/ বায়োএনটেক এবং অক্সফোর্ড/ অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন। দুটি টিকাই দুই ডোজ করে নিতে হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্থানীয় স্কাই নিউজের একটি অনুষ্ঠানে বলেন, বৃদ্ধাশ্রমে থাকাদের এক- তৃতীয়াংশকেও প্রথম ডোজের আওতায় আনা হয়েছে।
হ্যানকক জানান, "গত তিনদিনে আমরা যে পরিমাণ ব্যক্তিকে টিকার আওতায় এনেছি- তা ফ্রান্স রোগটি আবির্ভাবের পর থেকেও করতে পারেনি।"
চলতি সপ্তাহে ইংল্যান্ড জুড়ে আরও ৩২টি টিকাদান কেন্দ্র চালু করা হবে।
তবু সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েই গেছে। প্রফেসর ভ্যান- ট্যামের মতে, "এপর্যন্ত কোনো টিকাই শতভাগ সফল না হওয়ায়, সুরক্ষার গ্যারান্টি দেওয়া সম্ভব নয়। টিকাগ্রহণের দুই- তিন সপ্তাহ পর কারো মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। বিশেষ করে, বয়োবৃদ্ধদের দেহে সম্পূর্ণরূপে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠতে ন্যূনতম তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া উচিৎ।"
"টিকা নিয়েও আপনি নিজের অজান্তেই অন্যকে সংক্রমিত করতে পারেন। এভাবে জীবাণু বিস্তারের চক্রটি চলতেই থাকবে। নিজের স্বভাব বদলালেও আপনার মাধ্যমে রোগ বিস্তারের ঝুঁকি থাকছে, এতে করে বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি যারা টিকা অগ্রাধিকারের তালিকায় পেছনের সারিতে তাদের জীবন বিপন্ন হবে," তিনি সতর্ক করেন।
- সূত্র: বিবিসি