জেলখানায় বিয়ের অনুমতি পেলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
অবশেষে কারাগারে বিয়ে করার অনুমতি পেলেন আলোচিত অস্ট্রেলিয়ান অ্যাক্টিভিস্ট জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ইংল্যান্ডের বেলমার্শ কারাগারে সঙ্গী স্টেলা মরিসকে বিয়ে করবেন তিনি।
বিয়ের জন্য অ্যাসাঞ্জের আবেদনটি কারাগারের গভর্নর স্বাভাবিক পদ্ধতিতেই বিবেচনা করেন বলে জানায় জেল সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, সংবাদমাধ্যম পিএ মিডিয়াকে স্টেলা মরিস বলেন, "আমি আশা করি আমাদের বিয়েতে আর কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না।"
ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৮৩ অনুযায়ী, বন্দীরা কারাগারে বিয়ের জন্য আবেদনের অধিকার রাখে। তবে, আবেদন মঞ্জুর হলে বিয়ের খরচ নিজেদেরকেই বহন করতে হয় তাদের। এক্ষেত্রে কোনো করদাতার সাহায্য নিতে পারবেনা তারা।
লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকাকালে দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী আইনজীবী স্টেলার সাথে পরিচয় ঘটে অ্যাসাঞ্জের। উইকিলিকসের ইউটিউব অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে স্টেলা জানান, ২০১১ সালে অ্যাসাঞ্জের আইনি দলে যোগ দেওয়ার পর অ্যাসাঞ্জের সাথে প্রথমবারের মতো দেখা হয় তার।
এর আগে গত বছর, মেইল অন সানডে- এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে, স্টেলা মরিস জানান, ২০১৫ সালে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর দু'বছর পর বাগদান সারেন তারা। এই দম্পতির একসাথে দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
২০১২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। ২০১৯ সালে আটক হওয়ার পর থেকে বেলমার্শ কারাগারে রয়েছেন তিনি। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ৫০ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ।
আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধ সম্পর্কিত কয়েক হাজার ফাঁস হওয়া নথি উইকিলিকসে প্রকাশ করেন তিনি। এরপরই, জাতীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ক তথ্য প্রকাশের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওয়ান্টেড একজন সাংবাদিক হিসেবে অভিযুক্ত করা হয় তাকে।
উইকিলিকসের প্রকাশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১০ এর এপ্রিলে প্রকাশিত একটি ফুটেজ। ভিডিওতে দেখা যায়, মার্কিন সৈন্যরা ইরাকে হেলিকপ্টার থেকে বেসামরিক লোকদের গুলি করে হত্যা করছে।
প্রিজন সার্ভিসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, "অ্যাসাঞ্জের আবেদনটি কারাগারের গভর্নর দ্বারা গৃহীত হয়েছে। অন্য যেকোনো বন্দীর মতোই বিবেচনা করা হয়েছে এটি।"
- সূত্র: বিবিসি