প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হওয়ার পর কপ-২৬-এর মনোযোগ এখন জলবায়ু অর্থায়নের ওপর
জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে কীভাবে সাহায্য করা হবে, সে বিষয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য সোমবার ধনী দেশগুলোকে চাপ দেবে সরকারগুলো। এছাড়াও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দরিদ্র দেশগুলো ইতিমধ্যে যে ক্ষতির শিকার হয়েছে, তা পোষানোর জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তার ওপরও জোর দেওয়া হবে।
কপ-২৬-এর আয়োজক দেশ ব্রিটেন ফের আলোচনায় গতি ফেরানোর চেষ্টা করবে। ৩৯১ মিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল প্রদানের ঘোষণা দেবে দেশটি। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব মোকাবিলায় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোকে সহায়তা প্রদানও থাকবে ব্রিটেনের ঘোষণায়।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ডেনমার্কের প্রতিশ্রুত অর্থের বাইরে ঝুঁকিতে থাকা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে এই ৩৯১ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
কিন্তু খরা, বন্যা ও অগ্নিকাণ্ড আগের চেয়ে অনেক বেড়ে যাওয়ায় উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও বেশি পরিমাণ অর্থসাহায্য চায়। তবে উন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের জন্য অর্থায়ন করতে উৎসাহ দিচ্ছে।
উন্নয়নশীল দেশগুলো ধনী দেশগুলোর বিরুদ্ধে অতীত-প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবারের অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের মূল আলোচ্য বিষয় হবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি ও অভিযোজন।
গ্লাসগো সম্মেলন শেষ হতে আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি। অর্থাৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আর মাত্র পাঁচ দিন সময় পাওয়া যাবে।
তবে উন্নয়নশীল দেশগুলো এবার সতর্ক থাকবে। ১২ বছর আগে কোপেনহেগেনে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে ধনী দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপি খাইয়ে নিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ২০২০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ করা হয়নি। কপ-২৬-এ ধনী দেশগুলো বলেছে যে ২০২৩ সালের মধ্যে তারা সেই লক্ষ্য পূরণ করবে।
- সূত্র: রয়টার্স