ভ্যাকসিন সঙ্কট নিরসনে সেরামের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করবে ভারত সরকার
অ্যাস্ট্রাজেনেকা আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিজ দেশের সরকারের কাছে ইতোপূর্বে ৩ হাজার কোটি রুপি বা ৪০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা চেয়েছিল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। সাম্প্রতিক সময়ে, টিকা কর্মসূচিতে প্রতিষেধকের ডোজ সঙ্কটে পড়ার পর সেই আহবানে সাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট এক সূত্রের বরাতে একথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সেরাম বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক, বর্তমান ৭ কোটি থেকে আগামী মে নাগাদ মাসিক উৎপাদন ১০ কোটি ডোজের বেশি করার লক্ষ্যে কোম্পানিটি সরকারি সহায়তা পাওয়ার জন্যে আবেদন করে।
ভারতে এপর্যন্ত ১১ কোটি ২০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অন্য দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে রক্ত জমাট বাধার ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিলেও, ভারতে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
বরং সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে জনগণের টিকাগ্রহণের আগ্রহ বেড়েছে, যেকারণে টিকাটির চাহিদা পূরণেই হিমশিম খাচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সবচেয়ে বেশি চাহিদা আসছে সংক্রমণ মারাত্মক রূপ ধারণ করা কিছু রাজ্যের তরফ থেকে।
সরকারি তহবিল দানের বিষয়টি এখনও জনসম্মুখে প্রকাশ করার অনুমতি না থাকায় নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে শীর্ষ ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, "দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন ও প্রাপ্তি সহজলভ্য করতে দরকারি যেকোনো সহায়তা দেওয়া হবে, এব্যাপারে আমরা আগে থেকেই বলে আসছি।"
এব্যাপারে জানতে দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে বার্তা সংস্থাটি। কিন্তু, তিনি মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
সেরাম অচিরেই নোভাভ্যাক্সের আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ প্রতিষেধকও উৎপাদন শুরু করবে, কোম্পানিটিও কোনো মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
ভারতে সর্বমোট ১২ কোটি ৩০ লাখ টিকা ডোজের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে আবিষ্কৃত কোভ্যাক্সিনের ১ কোটি ১০ লাখ ডোজ দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার কোভ্যাক্সিন উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টাও করছে, পাশাপাশি কিছু নীতি সংশোধনের মাধ্যমে দ্রুত ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করছে।
- সূত্র: রয়টার্স