লাদাখে চড়ছে উত্তেজনার পারদ, সীমান্তে বোমারু বিমান, এয়ার ডিফেন্স মিসাইল মোতায়েন চীনের
লাদাখে উত্তজনা কমাতে কূটনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক স্তরে চীনের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। দেশটির দাবি, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতিশীলতা ফেরানোই নয়াদিল্লির উদ্দেশ্য়।
অন্যদিকে, মুখে শান্তি ফেরানোর কথা বললেও, লাদাখ সীমান্তে সামরিক শক্তি বাড়িয়েই চলেছে বেইজিং- এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে ভারতীয় পক্ষ থেকে।
দেশটির সেনা সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তে নতুন করে বোমারু বিমান এবং এয়ার ডিফেন্স মিসাইল মোতায়েন করেছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)।
চীনের শাসকগোষ্ঠী কম্যুনিস্ট পার্টির মুখপত্র 'গ্লোবাল টাইমস'-এর একটি প্রতিবেদনে গত বুধবার দাবি করা হয়, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই সীমান্তে সামরিক শক্তি বাড়ানো হচ্ছে। 'গত দু'সপ্তাহ ধরে ভারতের প্ররোচনায় সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সীমান্তে বোমারু, এয়ার ডিফেন্স মিসাইল, আর্টিলারি, সাঁজোয়া গাড়ি, পদাতিক বাহিনী ও স্পেশ্যাল ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে। পিএলএ দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষা করতে কতটা সক্ষম, এটা তারই প্রমাণ।'
চলতি বছরের মে মাস থেকেই পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। পংগং-সো লেক, গালওয়ান, দেপসাং উপত্যকার মতো ভারতীয় ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে বসেছে, অভিযোগ নয়াদিল্লির। গত ১৫ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে প্রাণ হারায় ২০ ভারতীয় সেনা। তারপর থেকেই উত্তেজনা নিরসনে আলোচনা চললেও, সীমান্তে তার প্রভব পড়েনি বিন্দুমাত্র। ভারত ও চীন উভয়েই পাল্টাপাল্টি সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে।
আগস্টের শেষদিকে পাল্টা পংগং-সো হ্রদের দক্ষিণ প্রান্তের বেশকিছু এলাকার দখল নেয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ একটি ইউনিট। গত কয়েকদিন ধরে এই এলাকা পুনরুদ্ধারেই তৎপর পিএলএ।
ভারতীয় সেনা সূত্রের দাবি , ৪ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার প্রথম হ্রদটির দক্ষিণপ্রান্ত দখলের চেষ্টা করে পিএলএ। কিন্তু, ভারতীয় সেনা তৎপরতায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর রোব এবং সোমবারও ফের চীন ওই এলাকা দখলের চেষ্টা করে। তবে, ভারতীয় বাহিনী এক ইঞ্চি জমিও ছাড়েনি।