সংক্রমণে জার্মানিকে টপকে অষ্টমে ভারত, প্রাণহানি ৫ হাজার ছাড়াল
জার্মানিকে টপকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উন্নীত হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজারে। জার্মানিতে এই সংখ্যা এক লাখ ৮৩ হাজার। এর মধ্য দিয়ে ভারত সংক্রমিতের সংখ্যা বিচারে বিশ্ব তালিকায় একধাপ ওপরে উঠে এলো।
সংক্রমিত দেশের তালিকায় বর্তমানে ভার রয়েছে অষ্টম স্থানে। আর তালিকার শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে মোট ১৮ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজিল, মোট সংক্রমিত ৫ লক্ষের বেশি। তারপরেই আছে রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপের এই দেশে মোট সংক্রমিত প্রায় ৪ লাখ।
এদিকে, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সর্বাধিক ৮ হাজার ৩৮০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। সাম্প্রতিক বিচারে দৈনিক এই সংক্রমণ হার সর্বাধিক।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৯৩। এনিয়ে ভারতে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়াল। খবর এনডিটিভির।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ৩ দিনে সর্বাধিক হারে সংক্রমিতের খোঁজ মিলছে সমগ্র ভারতে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চম দফার লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। পয়লা জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর হবে এই দফা। তবে এই দফায় দেশের আর্থিক ব্যবস্থা ও নাগরিক জীবনকে আনলক করতে উদ্যোগ নেবে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই মর্মে ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ দিক-নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে রোববার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান 'মন কি বাত'-এ জোর দিয়েছেন সতর্ক থাকার বিষয়ে।
এসময় নিজ দেশের জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেহেতু অর্থনীতির বিরাট অংশ উন্মুক্ত করা হয়েছে, তাই আরও সতর্ক হতে হবে সকলকে।
শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয় লকডাউনের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এটি লকডাউন আনলক করার ফেজ-১ বা প্রথম ধাপ বলেও বর্ণনা করা হয়। এর আওতায় সমস্ত দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে। রেল, সড়ক ও বিমান পরিষেবাও শুরু হয়েছে। শপিং মল, হোটেল, রেস্তোরাঁ, ধর্মীয় স্থান ৮ জুন থেকে খুলে দেওয়া হবে। সমস্ত নিষেধাজ্ঞাই এভাবে ধাপে ধাপে তুলে দেওয়া হবে বলেও সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রোববার মোদি আরও বলেন, 'শেষবার যখন আমি কথা বলেছিলাম তখনও যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন সব নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ের বিষয়ে আমাদের অমনোযোগী হওয়া উচিত নয়। সামাজিক দূরত্ব ও অন্যান্য প্রোটোকলকে একই ভাবে মেনে চলতে হবে।'
তিনি জানান, ভারত এই সংক্রান্ত বিষয়ে বহু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। অনেক কম জনসংখ্যার দেশের তুলনায় আমাদের মতো জনবহুল দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা অনেকাংশেই সফল হয়েছি, বলেও দাবি করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।'