৮ লাখ বছরের মধ্যে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড
আট লক্ষ বছরের মধ্যে বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউজ গ্যাসের ঘনত্বের পরিমাণ সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ওসানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নোয়া) প্রতিবেদনে সম্প্রতি এই তথ্য উঠে আসে।
নোয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সালে বাতাসে গ্রিনহাউজ গ্যাস কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৪১২.৫ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) রেকর্ড করা হয়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় এই মাত্রা ২.৫ পিপিএম পর্যন্ত বেশি।
বিজ্ঞানীদের মতে, রেকর্ড তথ্য ও পর্যবেক্ষণ অনুসারে এখন পর্যন্ত বাতাসে এটি কার্বন ডাই অক্সাইডের সর্বোচ্চ মাত্রা।
গবেষণার জন্য আধুনিক ইনস্ট্রুমেন্টাল পদ্ধতি অনুসরণ করে ডেটা সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে পর্যবেক্ষণে আনা হয় আট লাখ বছর আগের আইস কোর রেকর্ড।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ৩৯ বছরের মধ্যে ২০২০ সালে মহাসাগরে জীবাশ্ম জ্বালানি নিঃসৃত কার্বনের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ। এছাড়া, ১৯৯৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গড় কার্বন মাত্রার চেয়ে তা ৩০ শতাংশ বেশি।
গত বছর, জলবায়ু নির্দেশক বেশ কিছু সূচকে রেকর্ড মাত্রা দেখা যায়। টানা নয় বছর থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে নতুন রেকর্ডে গিয়ে পৌঁছে। হিমবাহ ও বরফের স্তর গলে যাওয়ার প্রতি দশকে বিশ্বে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক ইঞ্চিরও কিছু বেশি বেড়ে চলেছে। একইসঙ্গে উত্তপ্ত হচ্ছে সমুদ্র।
এছাড়া, দু'শ বছরের মধ্যে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তিনটি তাপমাত্রার মধ্যে রয়েছে ২০২০ সালে রেকর্ডকৃত ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা।
জলবায়ু এবং বায়ুমণ্ডলে পরিবর্তন আসায় তীব্র খরা, দাবানল, গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়, বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত থেকে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগও বাড়ছে।
প্রাথমিক ভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে মানব নিঃসৃত গ্রিন হাউজ গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে, বাড়ছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা।
বিপজ্জনকভাবে বাড়তে থাকা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঠেকাতে চলতি দশকের মধ্যেই নাটকীয়ভাবে গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
- সূত্র: এনপিআর