‘আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই’, আহত হওয়ার খবর উড়িয়ে দিলেন বারাদার
অবশেষে সামনে এলেন তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল বারাদার। বুধবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে হাজির হয়ে তালেবানের অভ্যন্তরীণ বিরোধের বিষয়টিকে গুজব হিসেবে উড়িয়ে দেন তিনি।
গত সপ্তাহে কাবুলে প্রেসিডেন্ট ভবনে হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে বারাদার আহত কিংবা নিহত হয়েছেন এমন খবর শোনা যেতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এই সংবাদ।
গত সোমবার এক অডিও বার্তায় বারাদার দ্বন্দ্বের বিষয়টি অস্বীকার করেন। কিন্তু, তার কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশিত না হওয়ার সন্দেহ ঘনীভূত হয়।
অবশেষে, বুধবার আফগান জাতীয় টেলিভিশনের পর্দায় প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি সশরীরে উপস্থিত হন। দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তর টুইটারে ওই সাক্ষাৎকার টুইট করে।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বারাদার বলেন, "না, এটা একদমই সত্যি নয়। আল্লাহর রহমতে আমি ভালো এবং সুস্থ আছি। গণমাধ্যম আমাদের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ নিয়ে যা বলছে, সেটাও সত্যি নয়।"
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এখানে সকলের মাঝেই ভালো ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি সবাই পরিবারের চেয়েও ঘনিষ্ট।"
গণমাধ্যমে প্রচারিত বার্তাকে তিনি "লজ্জাজনক মিথ্যা" বলেও আখ্যায়িত করেন।
বারাদার জানান, তিনি বিশেষ কাজে কাবুলের বাইরে গিয়েছিলেন, যেখান থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব ছিল না।
তিনি বলেন, "আর তাই আমি আফগান জাতি এবং তরুণ ও জ্যেষ্ঠ সকল মুজাহিদিনকে দুঃচিন্তা করতে বারণ করছি। এখানে দুঃচিন্তা করার মতো কোনো বিষয় নেই।"
গত রোববার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাবুলে আসলে তিনি কেন তার সঙ্গে দেখা করেননি, এ প্রশ্নের উত্তরে বারাদার বলেন, "আমরা আগে জানতাম না যে কাতার থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন। আগে জানলে আমরা আমাদের কাজ পেছাতাম। আমরা কাবুলের বাইরে ছিলান, তাই সাক্ষাৎ করা সম্ভব হয়নি। বলেন তিনি।
তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তরের প্রধান নেতা আবদুল গনি বারাদার। প্রাথমিকভাবে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন বলেই ধারণা করা হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দোহা চুক্তিতেও নেতৃত্ব দেন তিনি। তবে, সমঝোতার ভিত্তিতে সরকার গঠনের পর তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদে স্থলাভিষিক্ত হন।
- সূত্র: সিএনএন ও ওয়াশিংটন পোস্ট