আফগান নারীদের ক্রিকেট খেলতে দেবে তালেবান
আফগানিস্তানের দখল তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর দেশটির খেলাধুলার ভবিষ্যত শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল। শঙ্কার মাঝেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেয় পুরুষ দল। তবে বন্ধ ছিল নারীদের সব ধরনের খেলাধুলা। কয়েক মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর কিছুটা আশার খবর দিলেন আইসিসির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালার্ডাইস।
আইসিসি কোনো বিবৃতি না দিলেও তিনি জানিয়েছেন, নারীদের খেলা বন্ধ করবে না বলে আশ্বস্ত করেছে তালেবান সরকার। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে নারী ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যায়। শুধু ক্রিকেট নয়, জাতীয় নারী দলের ফুটবলাররা পরিবারসহ আফগানিস্তান ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছে বিদেশে।
আইসিসির পূর্ণ সদস্য থাকতে হলে আফগানিস্তানকে নারী ক্রিকেট বাধ্যতামূলকভাবে চালু রাখতে হবে। নারী ক্রিকেট চালু না থাকলে আইসিসির পূর্ণ সদস্য থাকতে পারবে না তারা। ফলে টেস্ট মর্যাদা হারানো ছাড়াও আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ হারাতে হবে আফগানদের।
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে মোহাম্মদ নবি-রশিদ খানদের ভাগ্য নির্ধারণে সভায় বসবে আইসিসি। এর আগে জিওফ অ্যালার্ডাইস সুখবরই দিলেন আফগান নারী ক্রিকেটারদের। তিনি জানিয়েছেন, নারী ক্রিকেট কার্যক্রম চলমান আছে বলে তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী বলেন, 'তালেবান সরকার আমাদের বলেছে, নারী ক্রিকেট চলছে। তারা আমাদের ইঙ্গিত দেয়নি যে এটা বন্ধ হয়ে গেছে। সময়ই বলে দেবে এটা কীভাবে কার্যকর হবে। আফগানিস্তানে ক্ষমতা পরিবর্তনের সময় থেকেই আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি শিগগিরই তাদের কোনো মুখপাত্রের সঙ্গে বসে আমরা আলোচনা করতে পারব।'
যদিও নারী ক্রিকেট চালু করার সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও হয়নি বলে মনে করেন জিওফ অ্যালার্ডাইস। তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় ওদেরকে এখনও এভাবে (সময় বেধে দেওয়া) কিছু বলার মতো সময় হয়নি। আপাতত ওদের বর্তমান পরিস্থিতি কেমন, এ সম্পর্কে ধারণা নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অনুমানের ওপর নির্ভর করে কোনো কিছু বলা ঠিক হবে না।'
মেয়েদের খেলার বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি তালেবান সরকার। এতে পুরুষ দলের ওপরও প্রভাব পড়ছে। জিওফ অ্যালার্ডাইস বলেন, 'নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আইসিসির অন্য সদস্যরা আফগানিস্তানকে কীভাবে গ্রহণ করবে, এটা সম্পূর্ণ তাদের নিজস্ব ব্যাপার। সাম্প্রতিক অবস্থায় আমরা শুধু বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করতে পারি। আফগানিস্তান আমাদের একটি সদস্য এবং তারা কিছু পালাবদলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ওদের ক্রিকেট এবং ক্রিকেট বোর্ড যেন দেশের সংবিধানের সঙ্গে মিল রেখে চলতে পারে, সে বিষয়ে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।'