সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন যারা অনুমান করেছিলেন
১৯৯১ সালের ২৫ ডিসেম্বর। দক্ষিণপন্থীদের একটি অভ্যুত্থান চেষ্টার পর সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোর স্বাধীনতাকামী আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন মিখাইল গর্বাচভ। তিনিই ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রটির সর্বশেষ সরকার-প্রধান।
তিনি অন্য ব্যবস্থা নয় বরং সমাজতন্ত্রকেই সংস্কার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সংস্কার যে প্রতিক্রিয়ার ঘূর্ণিপাক জন্ম দেয়, তাই শেষপর্যন্ত এর পতন ডেকে আনে। ফলত; রুগ্ন ও অনৈক্য তাড়িত সোভিয়েত ইউনিয়নের অস্তিত্ব বিলীন হয়।
জাতির উদ্দেশ্যে শেষ ভাষণে গর্বাচভ বলেছিলেন, "নতুন সংস্কার বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই পুরোনো ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছিল।"
ইতিহাসও দেয় সেই ইঙ্গিত। তার উত্তরসূরী বরিস ইয়েলেৎসিন হন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র ভেঙ্গে সবচেয়ে বড় রাষ্ট্র রাশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি।
যে ভলগা, ডন নদী বুকে ধারণ করা রাশিয়া থেকে ছড়িয়েছিল সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ও রাষ্ট্রবিস্তার, সেখানেই অস্তমিত হলো লাল সূর্য।
বিংশ শতকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ পালাবদল নিয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ঐতিহাসিক এবং রাশিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়ন পর্যবেক্ষকদের মতামত নিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
সে সময়ে এই পতন কেন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে বিস্মিত করেছিল এবং বর্তমানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আচরণ অধ্যয়নকারী কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক নেতারা এ থেকে কী শিক্ষা নিতে পারেন- এসব প্রশ্নের সদুত্তর জানতে চাওয়া হয় বিশেষজ্ঞদের সামনে।
সের্গে রেডচেঙ্কো স্নায়ুযুদ্ধ ঐতিহাসিক এবং জনস হপকিন্স স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের উইলসন ই. স্কিমিদ সম্মাননাপ্রাপ্ত অধ্যাপক। প্রথমে তুলে ধরা হলো তারই বিশ্লেষণ -
রেডচেঙ্কো: গভীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। খুব কম মানুষই এজন্য নিশ্চিত পতন অনুমান করতে সক্ষম হন।
মুষ্টিমেয় কিছু পর্যবেক্ষক বুঝতে পারেন, অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ভেতর থেকেই ঘুনপোকার মতো খুবলে খুবলে খেয়ে, শূন্য কাঠামোকেই কেবল অবশিষ্ট রেখেছে।
রাষ্ট্রের ওপর নাগরিকদের গভীর অনাস্থা, জীবনযাপনের অসহনীয় মান এবং সবশেষে অভিজাতদের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াই সোভিয়েত ইউনিয়নকে এক অন্ধকূপের মুখে এনে দাঁড় করায়।
সোভিয়েত সমাজতন্ত্রী দলের শীর্ষ নেতারাই ছিলেন এই অভিজাত শ্রেণি, আর শেষপর্যন্ত তাদের বিদ্রোহ-ই এর পতনেরও কারণ হয়। এ থেকেই বোঝা যায় রাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতায় কতখানি কমতি ছিল।
এসব নেতারা দেখলেন, সমাজতন্ত্র প্রচার-প্রসার থেকে রাষ্ট্র দূরে সরে যাচ্ছে। গর্বাচেভের সংস্কার এই বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করলো। কিন্তু, সমাজতন্ত্র ছাড়া সোভিয়েত রাষ্ট্রের অস্তিত্বের কোনো যুক্তি দেখতে পেলেন না প্রজাতন্ত্রগুলোর শীর্ষ নেতারা। ফলে তারাই আলাদা আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্রের পক্ষ নিলেন।
রুশ জাতীয়তাবাদের বড়পুত্র হলেন ভ্লাদিমির পুতিন। সোভিয়েতরা জাতীয় ঐক্যের আবেদন সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হলেও- এদিক থেকে পুতিন অনেক বেশি সফল। আর জাতিরাষ্ট্র হিসেবে পুতিনের রাশিয়া সোভিয়েত ব্যবস্থা থেকে অনেক বেশি স্থিতিশীল। তবে ন্যায্য নেতৃত্বের যে শূন্যতা সোভিয়েত আমলে ছিল, সুষ্ঠু নির্বাচনের অভাবে তার ধারাবাহিকতায় আজকের রাশিয়াও ভুগছে। সোভিয়েত আমলেও হয়নি, রয়েছে এমন নজিরবিহীন দুর্নীতির চর্চা। জীবনযাপনের মান বাড়ছে না, পুতিনের বয়সও তো থেমে নেই। তিনি যেমন বুড়িয়ে যাচ্ছেন, তেমনি পর্দার আড়ালে অভিজাতদের দ্বন্দ্বের ঘটনাও বাড়ছে।
পুতিনের রাশিয়া ভেঙ্গে আরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়তো অচিরেই হবে না, কিন্তু একথা অস্বীকার করার উপায় নেই- দেশটি এক দীর্ঘস্থায়ী সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো- সবশেষ পরিণতি কী হবে? ভবিষ্যতে আমরা কী ক্ষমতা পালাবদলের আরেকটি সহিংস অধ্যায় লক্ষ্য করব!
সের্গেই গুরিয়েভ আন্তর্জাতিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়- সায়েন্সেস পো প্যারিস- এর অধ্যাপক। তিনি ২০১৩ সাল পর্যন্ত মস্কোর নিউ ইকোনমিক স্কুল এর প্রধান ছিলেন।
গুরিয়েভ: তখনকার দুনিয়ায় পরাশক্তি ছিল দুটি- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন। পুঁজিবাদী বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ জানানো সেই সোভিয়েত রাষ্ট্র ভেঙ্গে পড়বে- অধিকাংশের পক্ষে এমনটা অনুমান করতে না পারাটাই স্বাভাবিক। বিশ্ব ইতিহাসেও এমন ঘটনা অতি-বিরল। তবে কিছু লক্ষণ অবশ্যই ছিল।
'কোনো ব্যবস্থা যদি নিজ গতিতে এগোতে না পারে, তাহলে এটি নিশ্চল হয়ে পড়বে'- ১৯৮৬ সালে এ সূত্র দেন আমেরিকান অর্থনীতিবিদ হার্বার্ট স্টেইন। তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের ব্যাপারে এ তত্ত্ব না দিলেও, তার মধ্য দিয়েই এটি প্রমাণিত হয়েছিল।
শেষদিকে সোভিয়েত অর্থনীতি আর উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারছিল না। নাগরিক জীবনমান বাড়াতে গর্বাচেভকে ঋণও নিতে হয়। অনমনীয় কাঠামোর কারণে ব্যর্থ হয় সংস্কারের উদ্যোগ। বিশ্ব লক্ষ্য করে, সোভিয়েত ইউনিয়ন তার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছে।
পুতিন এ থেকে অনেক শিক্ষা নিয়েছেন। প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো, এখন রাশিয়ার সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি অনেক বেশি রক্ষণশীল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আর তেমন বৈদেশিক ঋণও নেই। দ্বিতীয়ত, অর্থনীতিতে রাষ্ট্রের আধিপত্য এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের মাধ্যমে রাশিয়াকে তিনি বাজার অর্থনীতি হিসেবে ধরে রেখেছেন। আর এই ব্যবস্থা সোভিয়েত আমলের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর ও সহনশীল।
তবে সোভিয়েত ইউনিয়ন যেমন ভেঙ্গেছিল, সেই ঝুঁকি সীমিত আকারে হলেও রাশিয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে। সোভিয়েত শাসনব্যবস্থা ছিল আদর্শিক ও প্রথা-তাড়িত। আর পুতিনেরটি হলো তার ব্যক্তিত্ব-কেন্দ্রিক।
রুশ পার্লামেন্টের নিম্ন-কক্ষ ডুমা'র স্পিকার ভিয়াশস্লাভ ভোলোদিন একসময় স্পষ্ট করেই বলেছিলেন- "নো পুতিন, নো রাশিয়া"। অর্থাৎ, পুতিন না থাকলে, রাশিয়াও বিপন্ন হবে।
এই বাস্তবতার কোনো শাসনব্যবস্থা চিরকাল স্থায়ী হতে পারে না। তাই পুতিন পরবর্তী রাশিয়া আরও ভালো বা মন্দ যেকোনো একটি হবে, কিন্তু নিশ্চিতভাবেই তা আগের মতো হবে না।
ইয়েভগেনি অ্যালবাটস একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের একজন সম্পাদক। তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ডেভিস সেন্টার ফর রাশিয়ান অ্যান্ড ইউরেশিয়ান স্টাডিজের একজন অনাবাসী জ্যেষ্ঠ ফেলো।
অ্যালবাটস: সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশ্লেষণে বিপুল সংখ্যক পশ্চিমা বিশেষজ্ঞ নিয়োজিত ছিলেন। ছিলেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক বিজ্ঞানী। তাদের বেশিরভাগই লাল পতাকার সূর্যাস্ত অনুমান করতে পারেননি, এটা সত্যিই বিস্ময়কর।
আমি বিনীত দৃষ্টিকোণ তুলে ধরে বলব, এমন ব্যর্থতার পেছনে প্রধানত তিনটি কারণ কাজ করেছে। প্রথমটি ছিল- সোভিয়েত ইউনিয়নের ব্যাপারে তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যসংগ্রহের ঘাটতি। পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা সমাজতন্ত্রী দলের শীর্ষ নেতাদের ওপর নজর রাখাকেই বেশি গুরুত্ব দিত।
দ্বিতীয় কারণ ছিল, একাডমিক বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ার অতি-রাজনৈতিকীকরণ। যেমন রোনাল্ড রিগ্যান যখন সোভিয়েত ইউনিয়নকে 'শয়তানের সাম্রাজ্য' বলে তার সেই বিখ্যাত উক্তিটি করেন- তখন একাডেমিক পর্যায়ের অনেকেই একে অতি-যুদ্ধংদেহী আরোপ বলে সমালোচনা করেছিলেন। তবে শেষপর্যন্ত রিগ্যানের যুদ্ধংদেহী নীতিই অতি-সামরিকায়নে দুর্বল সোভিয়েত অর্থনীতির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে, এবং শাসনব্যবস্থার পতন ঘটায়।
প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর বদলে রাজনীতিতে ব্যক্তিত্ব কেন্দ্রিকতার বাড়াবাড়ির শেষ কারণই হলো সবচেয়ে মারাত্মক । গর্বাচেভ এবং তার সময়ের সোভিয়েত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা সম্পর্কে এটি বিশেষভাবে সত্য।
গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে একনায়ক হয়ে ওঠা পুতিনকে অবশ্য তার মাতাল পূর্বসূরী বরিস ইয়েলিৎসিনের চেয়ে অনেক বেশি বাস্তববাদী বলে মনে করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে পুতিন যে সোভিয়েত ইউনিয়নের সবচেয়ে দমনকারী প্রতিষ্ঠান কেজিবি'র প্রতিনিধি ছিলেন, সেদিকটা তারা ধীরে ধীরে ভুলতে থাকেন।
কেউ এ প্রসঙ্গ তুললেই তাকে থামিয়ে দিয়ে তারা যুক্তি দিতেন যে, রাশিয়ায় সব সময় পেশিশক্তির রাজত্ব চলে আসছে। পুতিনও সেভাবেই ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি অতীতের অনুশাসন ও বিশ্বাসের থোড়াই কেয়ার করেন। কিন্তু, ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলের পর তাদের সে মোহ ভাঙ্গে।
তাই আমি মনে করি, কেজিবির সগৌরবে ফিরে আসার দিকটা আজকের রাশিয়া বিশ্লেষণে অনেক বেশি উপেক্ষিত এবং তার যথাযথ মূল্যায়নের অভাব রয়েছে।
সে কারণেই আজ ইউক্রেন সীমান্তে আমরা এক লাখের বেশি রুশ সেনা সমাবেশ দেখছি। যাদের উদ্দেশ্য- প্রতিবেশী দেশটিতে সামরিক আগ্রাসন।
সেরহি প্লোখয় হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির ইউক্রেন অধ্যয়ন কেন্দ্রের পরিচালক। তার লেখা একটি বহুল সমাদৃত বই- 'দ্য লাস্ট এম্পায়ার: দ্য ফাইনাল ডেজ অব দ্য সোভিয়েত ইউনিয়ন'।
প্লোখয়: আমেরিকা ও ইউরোপের নীতিনির্ধারকদের কাছে সোভিয়েত ইউনিয়ন সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব ছিল না। তারা অন্তত এটুকু স্পষ্টভাবেই জানতেন, এটি ইউরোপীয় ধাঁচের জাতিরাষ্ট্র নাহলেও সোভিয়েত ইউনিয়ন আমেরিকার মতো একটি কেন্দ্রীয় রাজ্যসমষ্টি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে যখন ইউরোপীয় উপনিবেশগুলি স্বাধীন হতে শুরু করে, তখন মস্কো ও ওয়াশিংটন উভয়েই ব্রিটেনের মতো সাবেক সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোকে ঈর্ষার চোখে দেখেছে এবং সাবেক কলোনিগুলোকে নিজ প্রভাব বলয়ে আনার চেষ্টা চালাতে থাকে।
কিন্তু, মার্ক্সবাদী আন্তর্জাতিকতার মাধ্যমে রুশ সাম্রাজ্য এবং স্বতন্ত্র জাতীয়তাবাদের অবসান ঘটানোয় সোভিয়েত ইউনিয়নকে সাম্রাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হতো না।
তাই ১৯৯১ সালে যখন একটি প্রাচীন সাম্রাজ্যের মতন করে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে ১৫টি জাতিরাষ্ট্রের জন্ম হয়- তখন বাকরুদ্ধ হয় গোটা বিশ্ব।
পশ্চিমা দুনিয়ার সোভিয়েত বিশ্লেষণে এই বহু জাতি কাঠামো ভেঙ্গে পড়ার সম্পর্কে আগাম ধারণা রাখা উচিত ছিল। সে সময়ে রুশরা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫০.৮ শতাংশ হলেও পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়টিকে জনসম্মুখে তেমন একটা গুরুত্ব দিয়ে তুলেও ধরেননি।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে গঠিত রাশিয়ান ফেডারেশনে মোট জনসংখ্যার ৮১ শতাংশ হচ্ছেন রুশ জাতীয়তার। কিন্তু, এই বাস্তবতাকেও আজ অধিকাংশ রাজনীতিবিদ ও কূটনৈতিক গুরুত্ব দেন না। সাধারণ মানুষ জানেই না, রাশিয়ার পাঁচ-ভাগের এক ভাগ জনসংখ্যাই ভিন্ন জাতিসত্তার।
জারের সময়ে রুশ সাম্রাজ্য যেসব এলাকা দখল করেছিল, পূর্বপুরুষদের সেই ভুমিতেই বাস করছেন অ-রুশ নাগরিকরা। আজকের রাশিয়াতে তারাই সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত ও শোষিত। দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে তাদের রয়েছে প্রচণ্ড ক্ষোভ। তাই আগামী দিনে আমরা আরও বিস্ময়কর রাজনৈতিক ঘটনাবলী দেখব বলে অনুমান করাই যায়।
- সূত্র: ব্লুমবার্গ