বিরল ঘটনা! সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় দক্ষিণের নাগরিক
দুই দেশের মধ্যে অবস্থিত সুরক্ষিত সীমানা পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এক নাগরিক উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেছেন। গত ১ জানুয়ারি রাতে বিরল এ ঘটনা ঘটেছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাদের অনুসন্ধান অভিযান সত্ত্বেও শনাক্তকরণ এড়িয়ে, কয়েক ঘন্টা লুকিয়ে থাকতে সক্ষম হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
সিউলের সামরিক প্রধানরা বলছেন, পলাতক ব্যক্তি এখনও বেঁচে আছেন কিনা তারা জানেন না; তবে সুরক্ষার জন্য এ ব্যাপারে উত্তরকে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে।
মহামারি মোকাবেলায় উত্তর কোরিয়া 'শুট-অন-সাইট নীতি' গ্রহণ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছেন, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২০ মিনিটে দুই কোরিয়াকে বিভক্তকারী ডিমিলিটারাইজড জোনের (ডিএমজেড) পূর্ব উপকূলের একটি পয়েন্টে এক ব্যক্তিটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এরপরেই তারা অভিযান শুরু করেন।
অতীতে একই ধরনের সীমানা লঙ্ঘনের ঘটনার পর সিউলের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা আরও কঠোরভাবে সীমান্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সমুদ্রে নিখোঁজ হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার এক মৎস কর্মকর্তাকে গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। সেই ঘটনায় শুরু হয় তোলপাড়। পিয়ংইয়ং অবশ্য ওই ঘটনার দায়ভার চাপিয়ে দেয় দেশটি কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধে গৃহীত নীতির ওপর। এবং পরে এমন ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমাও চেয়েছিল দেশটি।
এর আগে উত্তরের শীর্ষ নেতা কিম জং উন দাবি করেছিলেন, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ঢুকে পড়া পক্ষত্যাগী এক উত্তর কোরিয়ানের দেহে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সীমান্তবর্তী একটি শহর সিলগালা করে দেন তিনি।
উত্তর কোরিয়ায় দীর্ঘসময় ধরে চলতে থাকা লকডাউন ও দেশের অভ্যন্তরে চলাচলের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ, সাম্প্রতিক সময়ে পক্ষত্যাগ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যাওয়ার হার অনেক কমিয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত সীমান্তগুলোর মধ্যে অন্যতম হল উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার ডিমিলিটারাইজড জোন। ল্যান্ডমাইন দ্বারা পরিপূর্ণ, বৈদ্যুতিক কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা এই সীমান্ত রেখায় আরও রয়েছে অত্যাধুক প্রযুক্তির ক্যামেরা ও ২৪ ঘণ্টা সামরিকবাহিনীর নজরদারি।