২ বছর পর নিউজিল্যান্ডের সীমান্ত খোলা: কান্নার রোল, চকলেটে বরণ
সোমবার (২ মে) দুই বছরের বেশি সময় পর দেশের সীমান্ত খুলে দিয়ে হাজারো পর্যটককে স্বাগত জানাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ বিধি-নিষেধ জারির পর থেকে এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও সিঙ্গাপুরসহ ৬০টি দেশের মানুষের জন্য দেশটির সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে।
অকল্যান্ডের প্রবেশদ্বারে গান গেয়ে ভ্রমণার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছেন মাওরি জনগোষ্ঠীর মানুষ। লস এঞ্জেলেস ও সান ফ্রান্সিসকো থেকে প্রথম ফ্লাইট এসে পৌঁছানোর পর স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত চকলেট বার দেওয়া হচ্ছিল পর্যটকদের।
দুই বছরের বেশি সময় পর সীমান্ত খোলায় নিউজিল্যান্ডের অনেকেই দীর্ঘ সময় পর দেশের বাইরে থাকা স্বজনদের দেখা পেয়েছেন। বিমানবন্দরে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়া স্বজনদের জড়িয়ে ধরছেন সবাই, কাঁদছেন অনেকেই।
বিমানবন্দরে ছেলে, ছেলের বউ ও নাতির অপেক্ষায় থাকা গারথ হালিডে রয়টার্সকে বলেন, অনেক পরিবারের একত্র হওয়ার দৃশ্য দেখে তিনিও আবেগী হয়ে পড়েছেন।
কোভিড অতিমারি শুরু হওয়ার পর বিশ্বের অন্যতম কঠোর লকডাউন ও বিধি-নিষেধ জারি করা হয় নিউজিল্যান্ডে। পর্যটনের প্রসার ও শ্রম ঘাটতি পুষিয়ে নিতে সম্প্রতি বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডের নাগরিক ও অস্ট্রেলীয়দের জন্য সীমান্ত খোলা ছিল। বর্তমানে টিকা দেওয়া থাকলে ও কোভিড টেস্টের নেগেটিভ সনদ দেখিয়ে ৬০টি দেশের দর্শনার্থী দেশটিতে যেতে পারবেন।
নয় হাজার যাত্রী সমেত ৪৩টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আজ অকল্যান্ডে আসার বা ছেড়ে যাওয়ার কথা। দেশটির বিমান সেবা খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন দেশটির পর্যটন খাত পুনরুদ্ধারে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সাড়া মিলছে।
ভারত ও চীনসহ বেশকিছু দেশের পর্যটকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত।
সূত্র: রয়টার্স