ছিপিযুক্ত নতুন বোতলে আসছে কোকা-কোলা, পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি
পুনর্ব্যবহারের লক্ষ্যে এবং কোকের বোতলের ক্যাপ বা ছিপি হারিয়ে ফেলার উটকো ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে কোকা-কোলাপ্রেমীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড কোকা-কোলা। গেল সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কোকা-কোলার বোতলে আসছে পরিবর্তন, সাথে রয়েছে পরিবেশ সংরক্ষণের বার্তাও।
নতুন যুগের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে কোকা-কোলার ভিন্নধর্মী প্লাস্টিক বোতল যুক্তরাজ্যের বাজারে ছাড়া হবে। এই বোতলের বিশেষত্ব হলো, এর ছিপি বোতলের গায়ের সাথেই আটকে থাকবে। আপনাকে শুধু মোচড় দিয়ে ছিপি খুলতে হবে, হাতে নিতে হবেনা বা অন্যত্র রাখতে হবে না।
আপাতদৃষ্টিতে পরিবর্তন সামান্য মনে হলেও, প্লাস্টিক বোতলকে দীর্ঘদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা রয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে কোক, কোক জিরো সুগার, ডায়েট কোক, ফান্টা, স্প্রাইট এবং ডা. পেপার এর মতো পানীয়গুলোতে এই নতুন বোতলের ডিজাইন সংযুক্ত করবে কোকা-কোলা।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রায়ই কোকের বোতলের ছিপি হারিয়ে ফেলে মানুষজন এবং সেগুলো ফেলনা আবর্জনায় পরিণত হয়। অন্যদিকে, ছিপি হারিয়ে ফেলায় বোতলটিও বেশিদিন ব্যবহার করতে পারেনা তারা। কিন্তু নতুন ডিজাইনের বোতলগুলো ব্যবহার ও পুনর্ব্যবহার, দুটিই অনেক বেশি সহজ হবে।
গেল মঙ্গলবার কোকা-কোলা গ্রেট ব্রিটেন শাখার জেনারেল ম্যানেজার জন উডস এক বিবৃতিতে বলেন, "এই ছোট্ট পরিবর্তনই অনেক বড় প্রভাব ফেলবে বলে আমরা আশা রাখি। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে ক্রেতারা যেন বোতলগুলো পুনর্ব্যবহার করেন এবং কোনো ছিপি যেন আলাদাভাবে ফেলে দেওয়া না হয়।"
একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সম্পর্কে নির্দেশনা দিতে গিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নির্দেশ জারি করে যে, কিছু প্লাস্টিক বোতলের ক্ষেত্রে ছিপি বোতলের গায়েই আটকানো থাকতে হবে। এর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২০২৪ সালের শেষাবধি সময় দেওয়া হয়েছে। ইইউর এমন নির্দেশনার পরেই নতুন অবতারে হাজির হতে যাচ্ছে কোকা-কোলা।
পরিবেশ সংরক্ষণে সাড়াদানের জন্য 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়াস্ট' উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কোকা-কোলা। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২০৩০ সালের ভেতরে ক্রেতাদের মধ্যে পুনর্ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
শুধু তাই নয়, একই উদ্যোগের অংশ হিসেবে কোকা-কোলা নিজেদের কোকের বোতল ও ক্যানের ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য পদার্থে তৈরি করবে এবং মোড়কজাতকরণে শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে।
কোকা-কোলার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর কারণে সারা বিশ্বে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্লাস্টিক মাটিতে পচনশীল নয় বলে এগুলো সমুদ্রসৈকতে বা মাটির নিচে অক্ষত রয়ে যাচ্ছে এবং পরিবেশের চরম ক্ষতি করছে।
সূত্র: ইউএসএ টুডে