হোমওয়ার্ক না করায়, হাত-পা বেঁধে প্রখর রোদে ফেলে রাখা হল ৫ বছরের শিশুকে!
দড়িতে আঁটোসাঁটো করে বাঁধা হাত-পা। বাঁধন খোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেও কিছুতেই পেরে উঠছে না। যন্ত্রণায় চিৎকার করলেও তা শোনার জন্য আশেপাশে কেউ নেই। গ্রীষ্মের দুপুরে চড়া রোদে খোলা ছাদে একলা পড়ে ছটফট করছে ছোট্ট একটি মেয়ে। এমন একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নেটে।
ইন্টারনেটে ২৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে বাচ্চাটির করুণ অবস্থা দেখে অনেকেই শিউরে উঠেছেন। বাচ্চা মেয়েটিকে কে বা কারা এভাবে বেঁধে রেখেছেন, তা খতিয়ে দেখতে সরব হন তারা। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর নড়েচড়ে বসে দিল্লি পুলিশও। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার।
এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ যা জানতে পারে, তাতে রীতিমত চমকে উঠবেন। আসলে পাঁচ বছরের ওই মেয়েটিকে শাস্তি দিয়েছিলো তারই মা!
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটির মা জানায়, স্কুলের পড়া করেনি বলে মেয়েকে মাত্র ৫-৭ মিনিটের জন্য ছাদের কড়া রোদে ফেলে রেখে দিয়েছিলেন।
ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে, এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
যদিও ওই নারীর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে নেটব্যবহারকারীদের একাংশ দাবি তুলেছেন, এই অমানবিক আচরণের জন্য শিশুর মাকেও হাত-পা বেঁধে চড়া রোদে ফেলে রাখা হোক!