ইকার্দির শেষ মুহূর্তের গোলে পিএসজির জয়, গোল খরায় মেসি
পিছিয়ে পড়ার পর নেইমারের গোলে সমতায় ফেরা। এরপর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে শেষের দিকে এগোচ্ছিল ম্যাচ। মনে হচ্ছিল ঘরের মাঠেই পয়েন্ট হারাতে যাচ্ছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু শেষ দিকে বদলি হিসেবে মাঠে নামা মাউরো ইকার্দি তা হতে দিলেন না। যোগ করা সময়ে গোল করে পিএসজিকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দিলেন আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার।
রোববার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচে ঘরের মাঠ পার্ক দি ফ্রাসে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অলিম্পিক লিঁওকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। লুকাস পাকিতার গোলে এগিয়ে যায় লিঁও। পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান নেইমার। শেষ বাঁশি বাজার দুই মিনিট আগে হেডে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ইকার্দি। লিগে ছয় ম্যাচের সব কটিতেই জিতলো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা পিএসজি।
ম্যাচে বল দখলের লড়াই হয়েছে সমানে সমান, পিএসজি কিছুটা এগিয়ে ছিল। ৫৫ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখেন নেইমার-এমবাপ্পেরা। গোলমুখে ১৪টি শট নেয় পিএসজি, এর মধ্যে ৫টি ছিল লক্ষ্যে। লিঁওর নেওয়া ১২টি শটের ৫টি ছিল লক্ষ্যে।
তারকা ঠাসা দল হলেও ছন্দময় পথচলার খোঁজ এখনও পায়নি পিএসজি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে ড্র করা দলটি এই ম্যাচে কোনোমতে পার পেল। ছন্দে নেই দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসিও। ফরাসি ক্লাবটির হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেললেও এখনও গোলের দেখা পাননি আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড। যদিও লিঁওর বিপক্ষে জালের ঠিকানা পেতে পারতেন তিনি। কিন্তু মেসির নেওয়া ফ্রি-কিক গোলবারে লেগে ফিরে আসে।
ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজতেই আক্রমণ সাজাতে শুরু করে পিএসজি। ১৬তম মিনিটে সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে শট নেন মেসি। কিন্তু তার দুর্বল শট সহজেই ধরে ফেলেন লিঁওর গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেজ। দুই মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে যায় লিঁও। ডান প্রান্ত থেকে ছুটে গিয়ে অসাধারণ শট নেন জারদান শাকিরি। ঝাঁপিয়ে পড়ে সুইস উইঙ্গারের শট ফেরান পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুমা।
২১তম মিনিটে বল নিয়ে গিয়ে আনহেল ডি মারিয়াকে পাস বাড়ান মেসি। মারিয়ার শট লক্ষ্য ভেদ করতে পারেনি। ৩২তম মিনিটে আরেকটি দারুণ আক্রমণ পিএসজির। মেসির লম্বা করে বাড়ানো পাস খুঁজে নেয় নেইমারকে। বল পেয়ে মেসিকেই বাড়ান নেইমার, কিন্তু মেসির নেওয়া শট লিঁওর গোলরক্ষকের পায়ে লেগে বেরিয়ে যায়।
৩৪তম মিনিটে ফ্রি-কিক পায় পিএসজি। মেসির নেওয়া দুর্দান্ত কিক গোলবারে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মেসির পাস থেকে বল পেয়ে শট নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি স্ট্রাইকারের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৫৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় লিঁও। কার্ল তোকো একাম্বির ক্রস থেকে প্লেসিং শটে গোল আদায় করেন নেন লা পাকিতা।
বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি পিএসজিকে। ৬৬তম মিনিটে সমতায় ফেরে দলটি। ডি-বক্সে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করেন তিনি। ৭৬তম মিনিটে মেসিকে তুলে আস্রাফ হাকিমিকে নামান পিএসজি কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো। যোগ করা সময়ে (৯০+৩) এমবাপ্পের ক্রসে দারুণ হেডে গোল করেন ইকার্দি।