ইয়ো ইয়ো টেস্টে শুরু ঘরোয়া ক্রিকেটের কার্যক্রম
গত মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলা বাংলাদেশ অপেক্ষায় আছে নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার। এবার ঘরোয়া ক্রিকেটও মাঠে ফেরাতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী মার্চে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করার পরিকল্পনা দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির।
ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোর কার্যক্রমও শুরু করা হয়েছে। মঙ্গলবার মিরপুর স্টেডিয়ামের ইনডোরে ইয়ো ইয়ো টেস্ট দিয়েছেন জাতীয় লিগের তিন দল ঢাকা মেট্রো, রাজশাহী ও রংপুরের ক্রিকেটাররা। বাকি দলের ক্রিকেটাররাও ধারাবাহিকভাবে ইয়ো ইয়ো টেস্ট দেবেন।
ইয়ে ইয়ো টেস্টের ব্যাপারে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ শেষে বিসিবি সভাপতি নির্দেশনা দেন যে, করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানো হবে। আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।'
ক্রিকেটাররা অনেকেই ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে জানান আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'ক্রিকেটাররা অনেকেই ভ্যাকসিন নিয়েছেস। সামনে আরও নেবে। এখন ফিটনেস পর্যালোচনা চলছে। বছরে মোট তিনটি ফিটনেস পর্যালোচনা হবে। সেটার প্রথম পর্ব আজ শুরু হলো।'
হাই পারফরম্যান্স দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে আয়ারল্যান্ড এইচপি দল (আয়ারল্যান্ড উলভস। এই সিরিজের পর ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করার ইচ্ছা বিসিবির। আরিফুল আরও বলেন, 'আয়ারল্যান্ড এইচপি দল সফর শেষ করার পর লিগ শুরু করতে পারব। ২০-২২ মার্চ শুরু করার ইচ্ছা। এবারও দুই স্তরের টুর্নামেন্ট হবে। হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা হবে।'
মঙ্গলবার ইয়ো ইয়ো টেস্ট দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোর ওপেনার শামসুর রহমান। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, 'টেস্ট দুটি কাছাকাছি। তবে ইয়ো ইয়ো টেস্টকে এগিয়ে রাখতে হবে। মাঠে যে রকম পরিস্থিতি অনুযায়ী ফিটনেসের প্রয়োজন, এটা তেমনই। এটা দীর্ঘমেয়াদী। আজ ১৮ পেয়েছি। তিন মাস পর আবার আমার টেস্ট হবে। তখন আমাকে লক্ষ্য দেওয়া থাকবে যেন ১৮.৫ করি।'
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফিটনেস যাচাই করা হয় বিপ টেস্টের মাধ্যমে। তবে এখন থেকে ইয়ো ইয়ো টেস্টের মাধ্য ফিটনেস টেস্ট নেবে বিসিবি। গত অক্টোবরে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের ক্রিকেটাররা ইয়ো ইয়ো টেস্ট দিয়েছিলেন। এখন থেকে সবার ফিটনেস টেস্ট হবে ইয়ো ইয়ো টেস্টের মাধ্যমে।
ইয়ো ইয়ো টেস্ট ও বিপ টেস্টের মধ্যে মূল পার্থক্য বিরতিতে। বিপ টেস্টে বিভিন্ন ধাপে টানা দৌড়াতে হয়। বিরতি নেওয়ার সুযোগ থাকে না। ইয়ো ইয়ো টেস্টে বিভিন্ন ধাপে দৌড়াতে হলেও ১০ সেকেন্ডের বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ আছে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ অনেক দেশেই ফিটনেসের জন্য ইয়ো ইয়ো টেস্ট ব্যবহার করা হয়।