এই গরমে কীভাবে খেলতে হবে, উপায় জানেন সাইফউদ্দিন
তাপমাত্রা ৩৬, কিন্তু অনুভূত হয় ৪৩ ডিগ্রির মতো। প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। ঘরে বসেও হাঁসফাস অবস্থা। এর মধ্যে ক্রিকেট খেলা কতোটা চ্যালেঞ্জিং, সেটা ক্রিকেটাররাই কেবল ভালোমতো টের পান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের পর মুশফিকুর রহিম যেমন বলছিলেন, 'এটা ক্রিকেটের জন্য আদর্শ কন্ডিশন নয়। কেবল গরমই নয়, ভেতরে ভেতরে যেন শুষে নিচ্ছে!'
একই অনুভূতি বাকি ক্রিকেটারদেরও। তবে এর মাঝেও কীভাবে ক্রিকেট খেলে যেতে হবে, সেই উপায় বের করে নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বিকেএসপিতে ২০ মে অনুশীলন ম্যাচ খেলার সময়ই তরুণ এই অলরাউন্ডার বুঝে গেছেন, এই গরম সামলে কীভাবে খেলতে হবে।
মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আগেরদিন সাইফউদ্দিন বললেন, 'একটা অনুশীলন ম্যাচ খেলেছি বিকেএসপিতে। ধারণা হয়েছে এই গরমে কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। ওভারের মাঝে পানি খাওয়া, স্যালাইন ও হাইড্রোয়েড খাওয়া, এগুলোতে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছি। বাউন্ডারি লাইনের শেষে পানি, স্যালাইন রেখেছি। কিছুটা কষ্ট হয়েছে, তবু চেষ্টা করেছি নিজের শতভাগ দেওয়ার, কারণ আন্তর্চাতিক ম্যাচ।'
প্রথম ওয়ানডেতে ৪৯ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন। হুমকি হয়ে ওঠা ভানিন্দু হাসারাঙ্গাকে আউট করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান ডানহাতি এই পেসারই। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে হাসারাঙ্গার সঙ্গে খেলার কারণে লঙ্কান এই ক্রিকেটারের সম্পর্কে ধারণা আছে তার। সেটাই কাজে দিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম ম্যাচে অবদান রাখায় কিছুটা স্বস্তিতে সাইফউদ্দিন।
বাংলাদেশ অলরাউন্ডার বলেন, 'মন থেকে চাচ্ছিলাম, এফোর্ট দিচ্ছিলাম যতোটা পারি নিজের থেকে। বাংলাদেশের জয়ের খুব দরকার ছিল। সেটায় ভূমিকা রাখতে পেরেছি। এ জন্য খুব খুশি। হাসারাঙ্গার সঙ্গে যুব দলের বিশ্বকাপ খেলেছি। কিছুটা হলেও ওকে চিনি। অবশ্যই ভালো ব্যাটিং করেছে। উইকেট বুঝে ফিল্ডিং সেট আপ করে ওর উইকেট নিতে পেরে খুশি।'
অলরাউন্ডার হিসেবে দলে সুযোগ পাওয়া সাইফউদ্দিন আট নম্বরে ব্যাটিং করেন। তবে তার চাওয়া পাঁচ-ছয়ে ব্যাটিং করা। যদিও দলের প্রয়োজনে যেকোনো জায়গায় ব্যাটিং করতে প্রস্তুত তিনি, 'দল যেভাবে চাইবে, অবশ্যই সেভাবে প্রস্তুত। সেটা আট নম্বর হোক বা সাত নম্বর। ব্যক্তিগতভাবে আমি পাঁচ-ছয়ে ব্যাটিং করতে চাই। যদিও এটা সম্ভব না কম্বিনেশনের কারণে। অনেক অভিজ্ঞ বড় ভাই আছেন। যদি ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারি, সুযোগ আসবে।'
গত জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সব ম্যাচে সুযোগ পাননি সাইফউদ্দিন, একটি ওয়ানডে খেলেন তিনি। তখনই জিদ চাপে তার মধ্যে। এরপর রোজার মাসে নিজেকে তৈরি করেন শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য। পরিকল্পনা মতো সব হওয়ায় তার দৃষ্টি এবার আরও দূরে।
সাইফউদ্দিন বলেন, 'রোজার মাসে অনেক কাজ করেছি। যদিও নিউজিল্যান্ড সিরিজ ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ ছিল, সুযোগ পাচ্ছিলাম না। নিজের ভেতরে জেদ কাজ করেছে। চেষ্টা ছিল এই সিরিজে প্রথম থেকে খেলব। গোল সেট করে বাড়ি থেকে আসা। প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছি। আরও দুটি ম্যাচ বাকি আছে, চেষ্টা করব ধারাবাহিকতা বজায় রাখার।'