ক্রিকেট থামাতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ
কদিন আগে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন ভারতের মহারাষ্ট্রের আট যুবক। করোনাভাইরাস সতর্কতায় ডাকা জনতা কারফিউ না মেনে ক্রিকেট খেলায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এবার ঘটলো ভিন্ন ঘটনা, পুলিশ এবার হামলার শিকার। জরুরী অবস্থার মধ্যেই ক্রিকেট খেলতে নেমেছিলেন কয়েকজন। বাধা দেওয়ায় পুলিশের ওপর হামলা করেছেন তারা।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পুরো ভারতকে ২১ দিন লকডাউন ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকারও আপাতত কয়েকদিন ক্রিকেট না খেলার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। ক্রিকেট পাগল ভারতীয়রা জরুরী এই অবস্থার মধ্যেই ব্যাট-বল নিয়ে রাস্তার নেমে পড়ছেন।
পুলিশের ওপর এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে। লকডাউনের মধ্যেই ক্রিকেট খেলতে রাস্তায় নেমে পড়ে একদল যুবক। তাদের ঘরে ফেরাতে এগিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশের নির্দেশনা তো তারা মানেইনি, উল্টো পুলিশকে আক্রমণ করে বসে।
এ ঘটনার সময় সেখানকার পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হতে থাকে। কারণ ক্রিকেট খেলতে থাকা যুবকদের সঙ্গে এলাকার মানুষও যোগ দেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা পাথর ছুড়তে থাকে। অবস্থা বুঝে সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হয় পুলিশ সদস্যরা। এ ঘটনায় চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হামলার শিকার হলেও চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পুলিশ পরিদর্শক যোগেন্দ্র সিং। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, 'আমাদের একটি বাহিনী আক্রমণের শিকার হয়েছে বলে জানতে পারলাম। ঘটনা শুনে আরও সদস্যদের নিয়ে সেখানে গিয়ে দেখি সবাই পুলিশের ওপর পাথর ছুড়ছে। এ ঘটনায় চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। দুজন পুরুষ ও দুজন নারীকে গ্রেফতার করেছি আমরা।'
করোনা সর্তকায় পুরো দেশ লকডাউনের ঘোষণায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, 'ভারতকে বাঁচাতে প্রতিটি রাস্তা ও এলাকা লকডাউন রাখতে হবে। ঘরের বাইরে বেরনো পুরোপুরি বন্ধ।' ভারতে এখন পর্যন্ত ৬০৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১০ জন।