চার হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ
শুরুর চাপ সামলে দলের ইনিংস গুছিয়ে নেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। চারে নেমে অধিনায়ককে যোগ্য সঙ্গ দেন সাকিব আল হাসান। এই জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এই দুই ব্যাটসম্যানই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। পরে দ্রুত গতিতে রান তুলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
চার হাফ সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ৫ উইকেটে ২৯৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ৬৪ রান করে করেছেন তামিম ও মুশফিক। সাকিব করেন ৫১ রান। ৪৩ বলে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। সৌম্য সরকার ৭ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলজারি জোসেফ ও রেমন রেফার ২টি করে উইকেট নেন।
অভিষেকে বিব্রতকর অভিজ্ঞতা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডানহাতি পেসার কেয়ন হার্ডিংয়ের। ১০ ওভারে ৮৮ রান খরচা করেছেন তিনি। যা ওয়ানডে অভিষেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান দেওয়ার রেকর্ড।
তামিম, সাকিবের পর মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরি
তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ৪৭ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। ওয়ানডেতে এটি তার ৩৯তম হাফ সেঞ্চুরি। ৪৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৪০। মুশফিক ৫৪ ও মাহমুদউল্লাহ ৩২ রানে ব্যাটিং করছেন।
৫৬৯ দিন পর হাফ সেঞ্চুরি করে বিদায় নিলেন সাকিব
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না সাকিব আল হাসানের। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ব্যাটে-বলে অনুজ্জ্বল ছিলেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতেই অবশ্য আসল চেহারায় তার দেখা মেলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৮ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পর করেন ১৯ রান। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৭৮ বলে ৩টি চারে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাকিব। ৫১ রান করে রেমন রেফারে বলে বোল্ড হন তিনি। ওয়ানডেতে এটা তার ৪৮তম হাফ সেঞ্চুরি। ৫৬৯ দিন পর ওয়ানডেতে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মাঝে এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় থাকা অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৫ জুলাই বিশ্বকাপের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি।
হাফ সেঞ্চুরি করে থামলেন তামিম
আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেই বিদায় নেন তামিম ইকবাল। তৃতীয় ওয়ানডেতে পথ আরেকটু দীর্ঘ হলো বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৬৪ রান করে থেমেছেন তামিম। ৮০ বলের ইনিংসে তামিম ৩টি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন।
তামিমের হাফ সেঞ্চুরি
আগের দুই ম্যাচেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ভরসা হয়ে ব্যাট চালিয়েছেন তামিম ইকবাল। প্রথম ওয়ানডেতে না পারলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক, খেলেন ৫০ রানের ইনিংস। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে হেসেছে অভিজ্ঞ এই ওপেনারের ব্যাট।
৭০ বলে ২টি চারে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি। ওয়ানডেতে এটা তামিমের ৪৯তম হাফ সেঞ্চুরি। যা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপরই আছেন সাকিব। ওয়ানডেতে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের হাফ সেঞ্চুরি ৪৭টি।
১০০ পেরিয়ে বাংলাদেশ
দ্রুতই দুই উইকেট হারানোর চাপ কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। তাদের ব্যাটিংয়ে ২২.২ ওভারে দলীয় সংগ্রহ ১০০ ছুঁয়েছে বাংলাদেশের।
শান্তও এলবিডব্লিউর শিকার
শুরুতেই লিটন কুমার দাসকে হারানোর চাপ কাটিয়ে উঠেছিলেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু তাদের জুটি দীর্ঘ হলো হলো না। দলীয় ৩৮ রানে নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরিয়ে দিলেন উইন্ডিজ পেসার কাইল মেয়ার্স। ফেরার আগে ৩০ বলে ৩টি চারে ২০ রান করেন শান্ত।
লিটনের বিদায়
সিরিজে প্রথমবারের মতো আগে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। এমন দিনে শুরুতেই হতাশা সঙ্গী হলো বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরে গেছেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। আলজারি জোসেফের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নিতে হয় তাকে। ৪ বল খেলেও রানের খাতা খোলা হয়নি লিটনের।