ছন্দময় তাসকিন, ইমরুল-মাহমুদউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরি
অনুশীলন থেকেই ছন্দময় বোলিং করে আসছেন তাসকিন আহমেদ। দলীয় অনুশীলনে তার বোলিংয়ের বিপক্ষে ভুগতে দেখা গেছে লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো ব্যাটসম্যানদের। প্রস্তুতি ম্যাচেও এই ধারায় আছেন ডানহাতি এই পেসার।
দুই দিনের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ৩ উইকেট নেওয়া তাসকিন দ্বিতীয় ম্যাচেও ৩ উইকেট নিয়েছেন। তাসকিনের আলো ঝরানোর দিনে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ম্যাচ অনুশীলনের অংশ হিসেবে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজন করেছে বিসিবি। প্রথম ম্যাচটি ২ ও ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ২৭ ক্রিকেটারের ২৪ জনকে নিয়ে ৫ অক্টোবর শুরু হয়েছে দুই দিনের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ।
ওটিস গিবসন ও রায়ান কুক নামে দুটি একাদশ বানানো হয়েছে। দ্বিতীয় দুই দিনের ম্যাচের প্রথমদিনে ব্যাটিং করেছে ওটিস গিবসন একাদশ। ৮ উইকেটে ২৪৮ রান তুলেছে তারা। বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকবার খেলায় বিরতি পড়ে। এদিন ৭২ ওভার ব্যাটিং করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
সর্বোচ্চ ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছেন ইমরুল কায়েস। তাসকিনের বলে ডানহাতি এই পেসারের হাতেই ক্যাচ দিয়ে থামেন ইমরুল। যদিও ক্যাচটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে দেখা গেছে ইমরুলকে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বারবার ইঙ্গিত করছিলেন, তাসকিনের হাতে জমা পড়ার আগে বল মাটি ছুঁয়েছে। কিন্তু আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন।
মাহমুদউল্লাহ ১১৬ বলে ৫৬ রান করেন। সাবলীল ব্যাটিং করা লিটন কুমার দাস করেন ৪৪ রান। সৌম্য সরকার ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি, থামেন ২৬ রান করে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২৯ ও রুবেল হোসেন শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
ওপেনার সাইফ হাসান বেশি সময় উইকেটে টিকতে পারেননি। ৭ রান করে বিদায় নেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন ২ রান করে। এই দুজনকেই ফেরান আগুনে বোলিং করা তাসকিন। শেষের দিকে নাঈম হাসান ও এবাদত হোসেন দ্রুতই আউট হয়ে যান।
ওটিস গিবসন একাদশের বাকি তিন পেসার খালেদ আহমেদ, সাউফদ্দিন ও আল আমিন হোসেনও ভালো বোলিং করেছেন। তবে তারা দাপুটে ছিলেন না। আল আমিন ও সাউফউদ্দিন একটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া অনিয়মিত বোলার মোহাম্মদ মিঠুন ২টি ও তাইজুল একটি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওটিস গিবসন একাদশ: ৭২ ওভারে ২৪৮/৮ (সাইফ ৭, ইমরুল ৫৯, শান্ত ২, মাহমুদউল্লাহ ৫৬, লিটন ৪৪, সৌম্য ২৬, মোসাদ্দেক ২৯*, নাঈম ৮, এবাদত ০, রুবেল ০*; তাসকিন ৩/৪২, সাইফউদ্দিন ১/৪২, খালেদ ০/৩১, আল আমিন ১/৩৬, তাইজুল ১/৭৬, মিঠুন ২/১০)।