টোকিও অলিম্পিকে প্রথম ডোপ পাপের ঘটনা, নিষিদ্ধ ওকাগবারে
তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিল দেশ, তার সামর্থ্যে আস্থা ছিল সবারই। ভিন্ন ইভেন্ট হলেও অলিম্পিকে পদক জয়ের অভিজ্ঞতা থাকায় ব্লেসিং ওকাগবারেকে নিয়ে আশার কমতি ছিল না। টোকিও অলিম্পিকে এগিয়েও যাচ্ছিলেন নাইজেরিয়ান এই স্প্রিন্টার। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে হিট পেরিয়ে উঠে গিয়েছিলেন সেমি-ফাইনালে।
ওকাগবারের দৃষ্টি যখন আরও সামনে, তখনই থেমে গেল তার স্বপ্নযাত্রা। ডোপ টেস্টে ধরা পড়েছেন নাইজেরিয়ান এই স্প্রিন্টার। নিষিদ্ধ হরমোন নেওয়ার কারণে টোকিও অলিম্পিক শেষ হয়ে গেছে তার। অস্থায়ীভাবে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অ্যাথলেটিকস ইনটেগ্রিটি ইউনিট (এআইইউ) শনিবার এক বিবৃতিতে ওকাগবারের ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার কথা জানিয়েছে।
এআইইউ জানিয়েছে, গত ১৯ জুলাই করা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এ দিনই তাকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানানো হয়। টোকিও অলিম্পিকে কোনো অ্যাথলেটের ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।
অলিম্পিকে পদক জয়ের অভিজ্ঞতা ওকাগবারের বেশ আগেই হয়। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে লং জাম্পে রৌপ্যপদক জেতেন তিনি। এবার স্প্রিন্টে পদক জয়ের লক্ষ্য নিয়ে টোকিওতে যান তিনি।
মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টের হিটে দাপট দেখান ওকাগবারে। হেসেখেলেই পার হয়ে যান হিট পর্ব। ১১ দশমিক ০৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠেন ৩২ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট।
ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ সাফল্য দেখিয়ে এসেছেন ওকাগবারে। দুটি ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছেন তিনি। ২০০ মিটার এবং লং জাম্পে স্বর্ণজয়ী এই অ্যাথলেটের টোকিও অলিম্পিকে ২০০ মিটার স্প্রিন্ট ও ১০০ মিটার রিলেতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল।