তিন বছর নিষিদ্ধ উমর আকমল
অবশেষে নাটকীয়তার শেষ হলো। শেষপর্যন্ত বড় শাস্তিই পেতে হলো উমর আকমলকে। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান। দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গ করায় আকমলকে এই শাস্তি দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
১১ বছরের ক্যারিয়ারে অনেক বিতর্কের সঙ্গে আকমলের নাম জড়িয়েছে। অন্যান্য সময় বেঁচে গেলেও এবার বড় শাস্তির খড়্গে পড়তে হলো তাকে। তার বিরুদ্ধে এবারের অভিযোগটাও গুরুতর। স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও সেটা পিসিবিকে জানাননি তিনি। এ কারণে গত ২০ মার্চ আকমলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী দুটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ তোলে পিসিবি।
এর আগে থেকেই (২০ ফেব্রুয়ারি) সাময়িক নিষেধাজ্ঞায় ছিলেন আকমল। দুর্নীতি দমন ধারা ভঙ্গের কারণে আকমল আজীবন নিষিদ্ধ হতে পারেন বলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশিত করেছিল। তবে সোমবার এক টুইট বার্তায় পিসিবি জানায়, তিন বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে আকমলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শুনানি শেষে পিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি (অব.) ফজল-ই-মিরান চৌহান আকমলের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ঘোষণা করেন।
পিসিবির আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করার সুযোগ ছিল ২০০৯ সালে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা আকমলের। কিন্তু আইনি লড়াইয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। আপিল না করায় তার কম শাস্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। শেষপর্যন্ত সেটাই হয়েছে।
আপিল করলে এরচেয়েও বড় শাস্তি পেতে পারতেন তিনি। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে আজীবন নিষিদ্ধও হতে পারতেন দারুণ সম্ভাবনা নিয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করা আকমল।
পাকিস্তানের হয়ে ১৬ টেস্ট, ১২১ ওয়ানডে ও ৮৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আকমল। তিন ফরম্যাটে ৫ হাজারেরও বেশি রান করেছেন তিনি। ওয়ানডেতে দুটি ও টেস্টে একটি সেঞ্চুরি করেছেন আকমল।
আগামী ২৬ মে ৩০ বছর পূর্ণ হবে পাকিস্তানের এই ক্রিকেটারের। এই বয়সে এসে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পথটা কঠিনই হয়ে গেল আকমলের জন্য।