নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার কিংসলে এখন বাংলাদেশের
২০১১ সালে বাংলাদেশে এসেছেন এলিটা কিংসলে। নাইজেরিয়ার এই স্ট্রাইকার আরামবাগ, বিজেএমসি ও মুক্তিযোদ্ধার হয়ে খেলে পার করে দিয়েছেন ৯টি বছর। বাংলাদেশ এতোটাই মনে ধরেছে কিংসলের যে, ছয় বছর আগেই সংসার পেতে নিয়েছেন। এবার তার গা থেকে বিদেশি ট্যাগও উঠে গেল। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন নাইজেরিয়ান এই ফুটবলার।
৬ বছর আগে বাংলাদেশের মেয়ে লিজাকে বিয়ে করেন কিংসলে। ওই সময়ই বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার আবেদন করেন তিনি। অবশেষে তার আবেদন মঞ্জুর করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে পরিচিত ৩১ বছর বয়সী কিংসলেকে এর জন্য ত্যাগ স্বীকারও করতে হয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিক হতে তাকে বাতিল করতে হয়েছে জন্মসূত্রে পাওয়া নাইজেরিয়ার নাগরিকত্ব।
গত ১৪ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে চিঠি দিয়ে কিংসলেকে নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। যুগ্ম সচিব আলী রেজা সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, 'বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রাপ্তির বিষয়ে আপনার আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রাপ্তির জন্য আপনাকে অভিনন্দন।'
নাগরিকত্ব পেয়ে কিংসলেও উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেছেন, 'আমি এই দেশকে ভালোবাসি। এ ছাড়া এখানে আমার পরিবার আছে। তাই এই দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছি। নাগরিকত্ব পেয়ে আমি খুব খুশি।' কেবল নাগরিকত্বই নয়, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের লিগে খেলে আসা কিংসলের লক্ষ্য এবার বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলা।
ফিফার আইন অনুযায়ী অন্য কোনও জাতীয় দলে না খেলা ফুটবলার অন্য দেশে পাঁচ বছর খেলার পর নাগরিকত্ব পেলে সে দেশের জাতীয় দলে খেলার অনুমতি পেতে পারেন। কিংসলের খেলা নিয়ে সমস্যা দেখছেন না জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে।
ইংলিশ এই কোচ বলেছেন, 'জাতীয় দলে খেলার জন্য যোগ্য যে কেউ থাকবে আমার বিবেচনায়। তার (কিংসলে) যদি সব যোগ্যতা থাকে তাহলে কেন নয়। তাকে লিগে আগে পারফরম্যান্স করতে হবে। লিগের পারফরম্যান্স দেখেই আমি দলে ডাকব।'