নাসিরের ব্যাটে রান, শাহাদাত-মার্শালের সেঞ্চুরি
জাতীয় ক্রিকেট লিগ দিয়ে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরেছেন নাসির হোসেন। দীর্ঘ বিরতির সঙ্গে ছিল ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্ক। ফিটনেস নিয়েও ছিল ভয়। তবে কোনো কিছুই ডানহাতি এই অলরউন্ডারের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারেনি। ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছেন রংপুর বিভাগের এই ক্রিকেটার। সেঞ্চুরি করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিশ্বজয়ী যুব দলের সদস্য শাহাদাত হোসেন দিপু ও ঢাকা মেট্রোর মার্শাল আইয়ুব।
জাতীয় লিগ শুরুর আগে নাসির জানিয়েছিলেন, ৬ ম্যাচে অন্তত ৮০০ থেকে ১ হাজার রান করতে চান তিনি। হতে চান আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সেই পথে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন তিনি। অপরাজিত থাকায় তৃতীয় দিনে আরও কিছু রান যোগ করার সুযোগ আছে তার সামনে।
জাতীয় লিগের প্রথম স্তরের ম্যাচে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে দ্বিতীয় দিন ব্যাটিং করেছে রংপুর। প্রথম ইনিংসে ঢাকা বিভাগের করা ৩৬৫ রানের জবাব দিতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। ৪১ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটিকে পথ দেখাতে শুরু করে নাসির হোসেন-মাহমুদুল হাসান লিমন জুটি।
লিমন ৭৮ বলে ২৭ রান করে আউট হলেও নাসির একপ্রান্ত আগলে খেলে যেতে থাকেন। ১৮৫ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ৯৩ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৭ উইকেটে ১৯৪ রান। ঢাকার থেকে ১৭১ রান পিছিয়ে আছে রংপুর। ঢাকার নাজমুল ইসলাম অপু ৩ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া সুমন ইসলাম ২টি এবং আরাফাত ইসলাম ও শুভাগত হোম একটি করে উইকেট পান।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে স্বাগতিক খুলনা বিভাগ ৭ উইকেটে ৩০৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে। এদিন স্কোরবোর্ডে তারা ৬৭ রান যোগ করে। আগের দিন ইমরুল ও তুষার সেঞ্চুরি মিস করেন। এদিন ২ রানের জন্য নাহিদুল হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে পারেননি। সিলেটের দুই পেসার আবু জায়েদ রাহি ও এবাদত হোসেন ৩টি করে উইকেট পান।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছে সিলেট বিভাগ। দিনশেষে ৮ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ১৩০ রান। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন ইমতিয়াজ হোসেন তান্না। এনামুল হক জুনিয়র ৩০ রানে অপরাজিত আছেন। ২৪৫ রান পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন ব্যাটিং করতে নামবে সিলেট। খুলনার মাসুম খান টুটুল ৪ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া মিনহাজ রহমান ও মঈনুল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন।
দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে আগেরদিন বরিশাল বিভাগকে ২৪১ রানে গুটিয়ে দেয় ঢাকা মেট্রো। দ্বিতীয় দিন সকালে ১ উইকেট ২৯ রান নিয়ে শুরু করা ঢাকা দিন শেষে ৭ উইকেটে ৩২৪ রান করেছে। মার্শালের ব্যাট থেকে আসে ১১২ রানের ইনিংস। মেট্রো ৮৩ রানের লিড নিয়েছে। বরিশালের কামরুল ইসলাম রাব্বি ও মনির হোসেন দুটি করে উইকেট পান।
দ্বিতীয় স্তরের অন্য ম্যাচে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে স্বাগতিক রাজশাহীর মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রাম। ম্যাচটিতে অলরাউন্ডার শাহাদাত হোসেন সেঞ্চুরি করেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি। শাহাদাতের ১০৮ রানের সুবাদে চট্টগ্রাম বিভাগ প্রথম ইনিংসে ২৮৭ রান তোলে। রাজশাহীর পেসার ফরহাদ হোসেন ৪টি উইকেট নেন। এ ছাড়া আসাদুজ্জামান পায়েল, তাইজুল ইসলাম দুটি করে উইকেট পান।
চট্টগ্রামের দুই পেসার মেহেদী হাসান ও নোমান মোহাম্মদের তোপের মুখে ১৫২ রানে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় রাজশাহী। সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজার ব্যাট থেকে। চট্টগ্রামের পেসার নোমান ৪টি এবং মেহেদী হাসান ৩টি উইকেট নেন। ১৩৫ রানে এগিয়ে থেকে চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে। দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান সংগ্রহ করেছে তারা।