নেপালকে হারালেই মিলবে ফাইনালের টিকেট
দারুণ জয়ে শুরু। এরপর ১০ জন নিয়েও ভারতের বিপক্ষে পয়েন্ট আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের লড়াই বাড়িয়ে তোলে আশা। যদিও পরের ম্যাচেই ছন্দপতন, মালদ্বীপের বিপক্ষে হেরে যায় জামাল ভূঁইয়ার দল। বাকি থাকা একটি ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ফাইনাল ভাগ্য।
পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে তিনটি দল। এরপরও ফাইনাল খেলার আশা মিলিয়ে যায়নি অস্কার ব্রুজোনের দলের। ফাইনাল স্বপ্ন এখনও বেঁচে আছে বাংলাদেশের। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধিতির এই টুর্নামেন্টর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপালকে হারাতে পারলেই ২০০৩ সালের পর প্রথম বারের মতো সাফের ফাইনালে উঠবে বাংলাদেশ।
৩ ম্যাচে ২ জয় ও এক হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ। দুই নম্বরে থাকা নেপালের পয়েন্টও ৬। দুই দলের গোল ব্যবধান সমান +২। ২ ড্র ও এক জয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। তাদের গোল পার্থক্য (+১)। ৪ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে বাংলাদেশ, তবে পিছিয়ে গোল পার্থক্যে। বাংলাদেশের গোল পার্থক্য (-১)।
প্রথমবারের মতো পাঁচ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এই পাঁচ দলের মধ্যে শুধু শ্রীলঙ্কার বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। বাকি চার দলেরই সুযোগ আছে ফাইনালে ওঠার। ভালো অবস্থানে আছে দুটি করে জয় পাওয়া মালদ্বীপ ও নেপাল। নিজেদের পরের ম্যাচে ড্র করলেই ফাইনালে উঠে যাবে দল দুটি। তবে হেরেও ফাইনালে ওঠার সুযোগ নেই। অন্য ম্যাচে ফল যাই হোক, হারলেই বিদায় নিতে হবে তাদের।
শেষ রাউন্ডে ১৩ অক্টোবর নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এদিনই আরেক ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে লড়বে ভারত। ফাইনাল খেলতে বাংলাদেশ ও ভারতের জয়ের কোনো বিকল্প নেই। নেপালের বিপক্ষে জিতলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে যাবে বাংলাদেশ। ড্র করলে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৫। যা জামাল-মতিনদের বড়জোর তিন নম্বরে রাখতে পারে।
ভারতের বেলাতেও তাই। মালদ্বীপের বিপক্ষে জিতলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে উঠবে সুনীল ছেত্রির দল। ম্যাচটি ড্র হলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে উঠবে সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ। ড্র করলে ভারতের পয়েন্ট হবে ৬, বিদায় নিতে হবে আসর থেকে।