পুরান ঝড়ে অল্পতে আটকানো গেল না ক্যারিবীয়দের
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বল হাতে লড়াকু বাংলাদেশকে আগেও দেখা গেছে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষের এই বাংলাদেশকে দেখা গেল প্রথমবার। দারুণ বোলিংয়ে শুরু থেকেই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই ধারায় থাকতে পারল না। শুরুর ব্যাটসম্যানদের হতাশা ভুলিয়ে দিয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলের রান বাড়িয়ে নিলেন নিকোলাস পুরান।
শারজাহতে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা ধুঁকতে থাকলেও শেষের দিকে ঝড় তুলে সেটা পুষিয়ে নেন পুরান। এ ছাড়া শুরু থেকেই এক পাশ আগলে রাখা রস্টন চেসও রেখেছেন বড় অবদান। এই দুজনের ব্যাটে ৭ উইকেটে ১৪২ রান তুলেছে উইন্ডিজ। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে এই রান পাড়ি দেওয়ার বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে।
বল হাতে অসাধারণ শুরু হয় বাংলাদেশের। দলীয় ১২ রানে এভিন লুইসকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ক্রিস গেইলের স্টাম্প উপড়ে দারুণ বোলিং করা শেখ মেহেদি হাসান। দুই ওপেনারই রান তুলতে ধুঁকছিলেন। ৪.২ ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেট হারানো ক্যারিবীয়দের বিপদ আর বাড়ান মেহেদি। নিজের তৃতীয় ওভারে শিমরন হেটমেয়ারকে সাজঘর দেখিয়ে দেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার।
এরপর রস্টন চেসের সঙ্গে যোগ দিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেন অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। এ দুজন উইকেট পতন সামলালেও রান তুলতে পারছিলেন না। একেবারে ধীর গতিতে এগোচ্ছিল তাদের ইনিংস। ১৩তম ওভারে গিয়ে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন পোলার্ড। উইকেটে যান আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু পরের বলেই রান আউট হয়ে থামে তিনি।
এরপর উইকেটে গিয়ে নিজেদের ইনিংসের চেহারা মুহূর্তেই পাল্টে দেন পুরান। ব্যাট হারে রীতিমতো ঝড় তোলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। শরিফুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে মাত্র ২২ বলে একটি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন পুরান। পরের বলে রস্টন চেসের স্টাম্প ভাঙেন শরিফুল। ফেরার আগে ৪৬ বলে ২টি চারে ৩৯ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় এই ওপেনার।
এ দুজনই মূলত দলের হয়ে রান করেন। শেষের ৫ ওভারে ৫৮ রান তোলে ক্যারিবীয়রা। গেইল ৪, লুইস ৬, হেটমেয়ার ৯, পোলার্ড ১৪* ও রাসেল ০, ডোয়াইন ব্রাভো ১ ও জেসন হোল্ডার ১৫* রান করেন। মেহেদি হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম দুটি উইকেট নেন। উইকেট না পেলেও দারুণ বোলিং করেন তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি এই পেসার ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচা করেন, ম্যাচে তিনি সবচেয়ে কম রান খরচা করেছেন।