প্যারিসে মেসির হোটেলে ডাকাতি
দুই বছরের চুক্তিতে গত ১১ আগস্ট পিএসজিতে নাম লেখান লিওনেল মেসি। তৃতীয় বছরের চুক্তি করার সুযোগও রাখা হয়েছে। পিএসজিতে নাম লেখানোর প্রায় দেড় মাস হয়ে গেল মেসির। এখনও নিজ বাড়িতে ওঠা হয়নি ছয়বারের ব্যালন ডি'অর জয়ীর। পরিবার নিয়ে প্যারিসের লো রয়্যাল মঁসো হোটেলে আছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারকে ঐতিহ্যবাহী হোটেলটিতে রাখতে পিএসজিকে বড় অঙ্কে টাকা খরচ করতে হচ্ছে। ভাড়া বাবদ প্রতি রাতে ১৭ হাজার পাউন্ড (প্রায় ২০ লাখ টাকা) খরচ হচ্ছে ফরাসি ক্লাবটির। কিন্তু এমন বিলাসবহুল হোটেলেই কিনা ঘটে গেল ডাকাতির ঘটনা!
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মেসি হোটেলের যে অংশে থাকেন, ঠিক সেটার ওপরের তলায় গত বুধবার ডাকাতি হয়! কয়েকটি কক্ষ থেকে লাখ টাকার অলংকার ও দামি জিনিসপত্র নিয়ে গেছে ডাকাতরা। তবে মেসি ও তার পরিবারের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এমনই খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান।
দ্য সান তাদের খবরে জানিয়েছে, লো রয়্যাল মঁসো হোটেলের ছাদের দিকের একটি ব্যালকনির দরজা দিয়ে ডাকাতরা ঢুকে পড়ে। মুখোশে ঢাকা ছিল সবার মুখ। ভবনের ছাদ থেকে ডাকাতরা নিচে নেমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ভবনের ছয়তলার ব্যালকনির একটা খোলা দরজা দিয়ে মুখোশধারী দুজন হোটেলে ঢোকে।
আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড এই হোটেলে ওঠার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছিল। যদিও সেই নিরাপত্তা ডাকাতদের জন যথেষ্ট হয়নি। এই হোটেলে থাকা এক নারী কক্ষ থেকে ৩ হাজার পাউন্ডের দামি নেকলেস, ২ হাজার পাউন্ড ও ৫০০ পাউন্ড দামি কানের দুল নিয়ে গেছে ডাকাতরা!
এই নারী পেশায় একজন বিনোয়োগ পরামর্শদাতা। এই ঘটনায় হোটেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তার দাবি, এ নিয়ে অভিযোগ জানানোর পরও হোটেল কর্তৃপক্ষ সেভাবে সাড়া দেয়নি। দ্য সানকে তিনি বলেন, 'বিলাসবহুল ও নিরাপদ জায়গায় থাকার লক্ষ্যে বিশাল অঙ্কের অর্থ দেওয়ার পর যখন আপনার কক্ষে কাউকে ঢুকে পড়তে দেখবেন, সেটা খুবই উদ্বেগজনক।'
এই ঘটনায় মেসি ও তার পরিবারকে ভাবিয়ে তুলতে পারে বলে জানিয়েছে আরেকটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর। কদিন আগে জানা যায়, প্যারিসে ভাড়া বাড়িতে উঠতে যাচ্ছেন মেসি। স্থায়ী ঠিকানায় ওঠার আগ পর্যন্ত এই ভাড়া বাড়িতেই থাকবেন তিনি।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, প্যারিসে মেসি যে বাড়িটি ভাড়া নিচ্ছেন, এই বাড়ির ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে মেসিকে গুণতে হবে ২০ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। ডাকাতির এই ঘটনার পর হয়তো দ্রুতই ভাড়া বাড়িতে উঠে যাওয়ার বন্দোবস্ত করে ফেলবেন মেসি।