ফাইনালে উঠতে তামিমদের দরকার ১৬৪ রান
হিসাবটা সহজ, ১৬৪ রান করলেই বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনাল নিশ্চিত। এক রান কম হলেও টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। অবশ্য প্রতিপক্ষের করা রানের চেয়ে ২ রান কম করতে হবে তামিম ইকবালের দলের। নাজমুল একাদশ ১০ উইকেটে ১৬৫ রান তুলেছে। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য ছোট হওয়ায় হিসাবটা কষতে হয়েছে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে।
এই হিসাবে ২ রান কমিয়ে তামিম একাদশকে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। ফাইনালে উঠতে ৪১ ওভারে এই রান তুলতে হবে তামিম ইকবালের দলকে। দলের লক্ষ্য ছোট রাখতে বল হাতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মাত্র ২৬ রান খরচায় ৫ উইকেট তুলে নেন ডানহাতি এই পেসার। মুস্তাফিজুর রহমান, মাহেদী হাসানরাও বল হাতে ছুড়ি ঘুরিয়েছেন।
নাজমুল একাদশের ওপর তেমন চাপ ছিল না। আগের দুই জয়ে ফাইনাল অনেকটা নিশ্চিত হয়ে আছে তাদের জন্য। তবু টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা নাজমুল একাদশের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৯ রানেই ওপেনার সৌম্য সরকার সাজঘরে ফেরান তামিম একাদশের পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
কিছুক্ষণ পর নাজমুল হোসেন শান্ত দলের বিপদ বাড়ান অফ স্পিনার মাহেদী হাসান। ধীর-স্থিরভাবে খেলতে থাকা পারভেজ হোসেনকে ফিরিয়ে দেন ডানহাতি এই স্পিনার। দলের দুঃসময়ে হাল ধরতে পারেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। ৫ রান করে মুস্তাফিজের শিকারে পরিণত হন তিনি।
২৫ রানেই ৩ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখানোর দায়িত্ব নেন সর্বশেষ ম্যাচে নাজমুল একাদশকে খাদের কিনার থেকে উদ্ধার করা মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিয়ে থাকেন আগের ম্যাচে ১৪৭ রানের জুটি গড়া এ দুজন। তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি।
১৫ ওভার শেষে বৃষ্টি বাধায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। নাজমুল একাদশের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৫৪ রান। বৃষ্টির কারণে খেলা ১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট বন্ধ থাকে। ম্যাচ নেমে আসে ৪১ ওভারে। বিরতির পরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে থাকেন মুশফিক ও আফিফ। চতুর্থ এই জুটিতে ৯০ রান পায় নাজমুল একাদশ।
জুটি গড়ার পথে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্যাট হাতে ছন্দ ফিরে পাওয়া মুশফিক। ১০৩ ও ৫২ রানের ইনিংস খেলার পর এই ম্যাচে ৫১ রান করেন জাতীয় দলের অন্যতম এই ব্যাটিং ভরসা। ৭৫ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৫১ রান করা মুশফিক সাউফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।
এরপর আফিফও বেশি সময় টিকতে পারেননি। বাঁহাতি তরুণ এই ব্যাটসম্যান ৬১ বলে ৪টি চারে ৪০ রান করেন। আফিফের বিদায়ের পর নাজমুল একাদশের ইনিংস মুখ থুবড়ে পড়ে। কোনো ব্যাটসম্যানই পারেননি দলের রানচাকা সচল রাখতে। তৌহিদ হৃদয় ১৩, ইরফান শুক্কুর ১১ ও নাসুম আহমেদ ১২* রান করেন। ৫ উইকেট নেওয়া সাইফউদ্দিন শেষের দিকে একাই নাজমুল একাদশকে চেপে ধরেন। মুস্তাফিজ ৩টি ও মাহেদী ২টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নাজমুল একাদশ: ৩৯.৩ ওভারে ১৬৫/১০ (ইমন ১০, মুশফিক ৫১, আফিফ ৪০, হৃদয় ১৩, নাসুম ১২*; সাইফউদ্দিন ৫/২৬, মুস্তাফিজ ৩/৩৬, মাহেদী ২/৩৪)।