সুমনের আগুনে বোলিংয়ে লক্ষ্য ছোটই থাকলো মাহমুদউল্লাহদের
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের প্রথম ম্যাচের স্মৃতিই ফিরিয়ে আনলেন ইরফান শুক্কুর ও তৌহিদ হৃদয়। সেই ম্যাচে দিকহারা দলকে পথ দেখিয়ে জয়ের বন্দরে নিয়ে গিয়েছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ফাইনালে মাহমুদউল্লাহ একাদশের বিপক্ষেও ত্রাতার ভূমিকায় দেখা গেল নাজমুল একাদশের এই দুই ব্যাটসম্যানকে। যদিও সুমন খানের আগুনে বোলিংয়ে অন্যান্য ব্যাটসমানরা সুবিধা করতে পারেননি।
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালে রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি নাজমুল একাদশ। সাত নম্বরে নেমে ইরফান দারুণ এক ইনিংস খেলার আগেই নাজমুল একাদশের ব্যাটিং অর্ডার ছত্রখান করে দেন মাহমুদউল্লাহর দলের ২০ বছর বয়সী পেসার সুমন খান। ৫ উইকেট নেওয়া সুমনের বোলিং তোপে ৪৭.১ ওভারে ১৭৩ রানেই থেমেছে নাজমুল একাদশ।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দলীয় ৪ রানেই ওপেনার সাইফ হাসানের স্টাম্প ভাঙেন রুবেল হোসেন। ইনসাইড এজে স্টাম্পে বল আঘাত হানে। সৌম্য সরকারের সঙ্গে যোগ দিয়ে শুরুর ধাক্কা সামনে নেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক শান্ত।
যদিও একটু পরই চোখের সমস্যার কারণে সৌম্য মাঠ ছাড়েন। মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে এগোতে থাকেন শান্ত। তাদের জুটি দীর্ঘ হয়নি। দলীয় ৩৫ রানে বিদায় নেন মুশফিক। এরপর মাঠে ফেরেন পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে ব্যর্থ থাকা সৌম্য সরকার। ১৫তম ওভারে সব এলোমেলো করে দেন সুমন। এই ওভারে সৌম্য ও আফিফ হোসেনকে বিদায় করে দেন তিনি।
আগের ম্যাচগুলোয় নিজের ছায়া হয়ে থাকা শান্ত এদিন সাবলীল ছিলেন। অবশ্য তিনিও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩২ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকারে পরিণত হন শান্ত। এরপর ইরফান শুক্কুর ও তৌহিদ হৃদয় জুটি গড়েন। তাদের ৭০ রানের জুটিতে মূলত নাজমুল একাদশ লড়াইয়ের পুঁজি পায়। হৃদয় ২৬ রান করে বিদায় নেন।
বাকিটা পথ একাই লড়েছেন ধারাবাহিকভাবে রান করে আসা শুক্কুর। ৭৭ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৫ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। সুমন খান ৩৮ রান খরচায় ৫টি উইকেট নেন। রুবেল হোসেন ২টি এবং এবাদত হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নাজমুল একাদশ: ৪৭.১ ওভারে ১৭৩/১০ (শান্ত ৩৪, মুশফিক ১২, হৃদয় ২৬, শুক্কুর ৭৫; সুমন ৫/৩৮, রুবেল ২/২৭, মিরাজ ১/৩৯, মাহমুদউল্লাহ ১/২৮)।