বাদ পড়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদলেন সুয়ারেজ
কাতারেই যে তার শেষ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে সেটি জানাই ছিলো। কিন্তু নিজের শেষটা কষ্টের বিদায় দিয়েই হলো লুইস সুয়ারেজের।
ঘানার বিপক্ষে জিতেও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে উরুগুয়ে। ১২ বছর আগে ঘানার বিপক্ষেই সেই বিখ্যাত 'হ্যান্ডবল' বিতর্কের নায়ক লুইস সুয়ারেজ নিজের ৪র্থ এবং শেষ বিশ্বকাপে বিদায় নিলেন গ্রুপ পর্ব থেকেই।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোলের খবর জানার সাথে সাথেই উরুগুয়ে শিবিরের চেহারা যেন পালটে গেল। কিছুক্ষণ আগেও নক-আউট পর্বে উঠার দৌড়ে এগিয়ে থাকা উরুগুয়েকে যে তখন আরেকটা গোল করতেই হবে। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও সেটি তারা পারল না।
ঘানাকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েও তাই বিদায় নিতে হল সুয়ারেজ-কাভানিদের। নিজের শেষ বিশ্বকাপটা মনের মতো রাঙাতে পারলেন না লুইস সুয়ারেজ, তাই কোরিয়ার গোলের পর থেকেই আবেগতাড়িত হয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি।
ঘানার বিপক্ষে উরুগুয়ের দুটো গোলের কারিগরই ছিলেন সুয়ারেজ, ৩৫ বছর বয়সেও যেন নিজের পুরোনো রূপ দেখাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সেটিও যথেষ্ট হল না উরুগুয়েকে নক-আউট পর্বে নিয়ে যেতে।
তাই ম্যাচ শেষে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন উরুগুয়ের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা লুইস সুয়ারেজ। তার কান্নার দৃশ্য চোখ ভিজিয়ে তোলে ফুটবল প্রেমিদেরও।
২০১০ বিশ্বকাপে সুয়ারেজের 'হ্যান্ডবল' বিতর্ক ছাড়াও ২০১৪ বিশ্বকাপে তার 'কামড়' কান্ডও মনে রাখবে বিশ্ব।