মরক্কোর কোচের কাছে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ সবচাইতে বাজে!
প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠার স্বপ্ন পূরণ হলেও ফাইনালে উঠতে পারেনি মরক্কো। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলের ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে কার্যত বিদায় নিয়েছে অ্যাটলাসের সিংহরা। তবে এখনও একটি ম্যাচ খেলা বাকি মরক্কোর, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে সেমি-ফাইনালে হারা আরেক দল ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে তারা।
ফাইনালে উঠা ছিল যাদের লক্ষ্য, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলে কী আর তারা তৃপ্ত হয়! সেরকমটিই মনে হতে পারে মরক্কো কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুইয়ের কথায়। এই ম্যাচ নিয়ে মোটেও আগ্রহী নন তিনি। এই ম্যাচকে সবচেয়ে বাজে ম্যাচ বলে আখ্যায়িত করেছেন রেগরাগুই!
রেগরাগুইর মতে, বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা স্বপ্ন ছিল মরক্কোর। সেখানে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ অর্জনের থেকে হেরে যাওয়ার কথাই মনে করিয়ে দিবে বেশি। এত কাছে এসেও স্বপ্ন ছুঁতে না পারার হতাশাটাই বেশি রেগরাগুই ও তার দলের।
যদিও তৃতীয় স্থান অর্জনকেও কম সাফল্য মনে করছেন না রেগরাগুই, তবুও তার মতে রবিবারের ফাইনাল খেলতে পারলেই বেশি খুশি হতেন তিনি, 'তৃতীয় স্থান অর্জন করাও আমাদের জন্য সাফল্যের হবে। কিন্তু আমি অবশ্যই তৃতীয় হওয়ার থেকে ফাইনালে খেলতে পারলে বেশি খুশি হতাম। আমার দলও সেটিই করতে চেয়েছিল। সেই হিসেবে এটি আমাদের খেলা সবচেয়ে বাজে ম্যাচ।'
মরক্কোর মানুষের প্রত্যাশা ছাপিয়ে এতদূর আসাটাকেও বড় পাওয়া মনে করেন রেগরাগুই, 'মরক্কোর মানুষকে যদি বলা হতো, ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের দল বিশ্বকাপে টিকে থাকবে এবং ১৭ তারিখে ম্যাচ খেলবে, আমার মনে হয় সবাই সেটি লুফে নিতো।'
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের ইতিহাসের এর আগে আফ্রিকান কোনো দল সেমি-ফাইনালে উঠেনি। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের ফলাফলে তাই তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না মরক্কোর সাফল্যের ক্ষেত্রে।
জিতলে আফ্রিকান দলগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সাফল্য হিসেবে তৃতীয় স্থান অর্জন করবে মরক্কো, হারলে তিনের জায়গায় তাদের সাফল্য হবে চতুর্থ হওয়া। মুখে যতোই বলুন না কেন, রেগরাগুই নিশ্চয়ই মঞ্চে উঠে ৩য় হওয়ার মেডেলটি পেতে চাইবেন।