হ্যাটট্রিকে পেলের পাশে এমবাপ্পে, টাইব্রেকারে ম্যাচ
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে কানায় কানায় ঠাসা দর্শকের সামনে বিশ্বকাপ ফাইনালের মহারণে নেমেছে আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্স। দুই দলই নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জেতা থেকে একধাপ দূরে।
২-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করা আর্জেন্টিনাকে পথ ভুলিয়ে দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ৯৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরালেন তিনি। ৮০ ও ৮১ মিনিটে গোল করেন তারকা এই ফরোয়ার্ড।
নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলের সমতায় শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়িয়েছে ম্যাচটি।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনাকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু ১১৭ মিনিটে আবারও পেনাল্টি পায় ফ্রান্স, নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এমবাপ্পে। ম্যাচ গড়িয়েছে টাইব্রেকারে।
ম্যাচের শুরু থেকে নিয়ন্ত্রণ নেয় আর্জেন্টিনা, আলবিসেলেস্তেদের গতিশীল ফুটবলের সামনে খাবি খাচ্ছিল ফ্রান্স। সেটির পুরো ফায়দা তুলেছেন মেসি-দি মারিয়ারা।
ম্যাচের ২০ মিনিটে আনহেল দি মারিয়াকে ডি-বক্সের ভেতর ফাউল করেন দেম্বেলে। গোল করতে কোনো ভুল করেননি লিওনেল মেসি। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপ ফাইনালে এটিই মেসির প্রথম গোল। ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল পাননি তিনি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এটি আর্জেন্টিনারও ফাইনালে প্রথম গোল।
এই গোলটি কাতার বিশ্বকাপে মেসির ৬ষ্ঠ গোল, সবমিলিয়ে ১২ তম।
৩৭ মিনিটে দুর্দান্ত প্রতি আক্রমণে ব্যবধান ২-০ করেন দি মারিয়া। ম্যাক অ্যালিস্টারের পাস থেকে বাঁ পায়ের গড়ানো শটে লরিসকে পরাস্ত করেন তিনি।