বাংলাদেশে কেন ধুঁকেছে অস্ট্রেলিয়া, কারণ জানালেন পন্টিং
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এসে নাজেহাল অবস্থাই হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। একে তো দলে ছিলেন না তারকা বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার, তার ওপর ধীর গতির উইকেটে বাংলাদেশের স্পিনার ও মুস্তাফিজুর রহমানের দাপট। ঘরের মাঠের দলটির বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি অজিরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে হেরে বাড়ি ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া।
এমন হারে স্বভাবতই হতাশ অস্ট্রেলিয়া দল। আস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটেও পড়েছে এর প্রভাব। সফর শেষ হওয়ার বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা থামেনি। অস্ট্রেলিয়ার কেন এই ভরাডুবি, সেটার কারণ অনুসন্ধান চলছে।
দেশটির সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং এরই মধ্যে কারণ আবিষ্কার করে ফেলেছেন। দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়কের মতে, বাংলাদেশের কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা না থাকা ও দক্ষতার অভাবে এভাবে হারতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়কে।
এসইএন রেডিওতে শনিবার অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইনের সঙ্গে আলাপচারিতায় এক পর্যায়ে পন্টিং বলেন, 'এই কন্ডিশনে আমাদের জানাশোনার স্বল্পতা এবং স্কিলের ঘাটতি আবারও আমাদের সর্বনাশ ডেকে এনেছে। আমার স্মৃতিতে যতোটা মনে পড়ে, এটা আসলে অনেকদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের বড় দুর্বলতা। যদিও বেশির ভাগ সময় ভুগতে হয়েছে টেস্টে। শ্রীলঙ্কায় ও ভারতে অবশ্য আমরা সাদা বলের ক্রিকেটে লড়াই করার পথ খুঁজে নিয়েছি কোনোভাবে।'
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে গভীরতা খুঁজে পাচ্ছেন না পন্টিং। তার মতে, দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে আরও অনেক কাজ করতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার বলেন, 'এটা (বাংলাদেশের বিপক্ষে হার) প্রমাণ করে যে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে যতটা গভীরতা থাকা উচিত, সেটার ধারে কাছেও নেই। কাজেই অনেক কাজ করতে হবে।'
বিশ্বকাপ প্রস্তুতির সিরিজ হলেও বাংলাদেশ সফরে আসেননি অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার। তারা হলেন ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, মার্কাস স্টয়নিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্স, জাই রিচার্ডনসন ও কেন রিচার্ডসন। চোটের কারণে সফরে আসা হয়নি নিয়মিত অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চেরও।
এসব ক্রিকেটারের প্রস্তুতির জন্য আইপিএলকে সেরা মঞ্চ মানছেন পন্টিং। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে আইপিএলের বাকি অংশ। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও অনুষ্ঠিত হবে আরব আমিরাতে। এ কারণে বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে সমস্যা হবে না বলে বিশ্বাস পন্টিংয়ের।
তিনি বলেন, 'যারা তিন-চার মাস ধরে খেলছে না, তাদের ছন্দে ফিরতে হবে বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের বিপক্ষে উঁচু মানের ক্রিকেট খেলে। বিশ্বকাপের একদম একই কন্ডিশনে তারা খেলবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে। কোনো সন্দেহ নেই, এটিই হবে তাদের সেরা প্রস্তুতি।'