বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে পিএনজিকে উড়িয়ে দিল ওমান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারলো না পাপুয়া নিউ গিনি। মাসকাটের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে পিএনজিকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে ওমান।
রোববার পিএনজিকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিক দেশটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে ওমান তৃতীয় দল, যারা ১০ উইকেটে জিতলো। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা পিএনজি ৯ উইকেটে ১২৯ রান তোলে । জবাবে ১৩.৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ওমান।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার আকিব ইলিয়াস ও যতিন্দর সিং। তবে সময় যত গড়িয়েছে, তত মারকুটে মেজাজে ব্যাট চালাতে শুরু করেন তারা। এই দুই ব্যাটসম্যানের কাছেই হেরে যায় পিএনজি। দুজনই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। আকিব ৪৩ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। যতিন্দর ৪২ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন।
এর আগে ব্যাটিং করা পিএনজিকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন ওমান অধিনায়ক জিশান মাকসুদ। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা বাঁহাতি এই স্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন, যা টি-টোয়েন্টিতে ওমানের সেরা বোলিং। এ ছাড়া দুই পেসার বিলাল খান ও কলিমুল্লাহও দারুণ বোলিং করেন। দুজনেরই শিকার ২টি করে উইকেট।
টস জিতে পিএনজিকে ব্যাটিংয়ে পাঠান জিশান মাকসুদ। ব্যাটিংয়ে নেমে দুঃস্বপ্নের শুরু হয় পিএনজির। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই টনি উরাকে ফিরিয়ে দেন বিলাল খান। ওমানের বাঁহাতি এই পেসার কোনো রান খরচা না করেই প্রথম ওভার শেষ করেন।
দ্বিতীয় ওভারে আরও বিপদ বাড়ে পিএনজির। এই ওভারে আরেক ওপেনার লেগা সিয়াকার স্টাম্প উপড়ে নেন ওমানের ডানহাতি পেসার কলিমুল্লাহ। এই ওভারে তার খরচা ১ রান।
মাঝ দরিয়ায় পড়ে যাওয়া দলকে পথ দেখাতে শুরু করেন অধিনায়ক আসাদ ভালা ও চার্লস আমিনি। এই জুটিতে দারুণভাবে গুরে দাঁড়ায় পিএনজি। ৭৯ রান যোগ করেন ভালা-আমিনি। ৩৭ রান করা আমিনির বিদায় ভাঙে এই জুটি।
১৩ রান করা সেসে বাউকে নিয়ে আরেকটু পথ পাড়ি দেন ভালা। এ সময় পিএনজি অধিনায়ক তুলে নেন দেশ ও নিজের পক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। ৪৩ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৬ রান করে বিদায় নেন তিনি।
প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ফিরতেই বল হাতে জ্বলে ওঠেন ওমানের অধিনায়ক জিশান মাকসুদ। একাই পিএনজির ইনিংস ধসিয়ে দেন তিনি। ১৬তম ওভারে তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি। এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরা আর কেউ দলের হয়ে রান করতে পারেননি।