মাশরাফির ফাউন্ডেশনের জীবাণুনাশক কক্ষ
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে, সবাই নিজেকে ঘরবন্দী করতে শুরু করেছেন; কিন্তু ব্যতিক্রম মাশরাফি বিন মুর্তজার বেলায়। বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়কের চিন্তা তার এলাকার মানুষকে নিয়ে। তাই করোনার প্রকোপের মাঝেই গত ২০ মার্চ নিজ এলাকায় ছুটে যান নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি।
শুরু থেকেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছেন মাশরাফি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার নড়াইল সদর হাসপাতালের গেটে জীবাণূনাশক কক্ষ স্থাপন করল মাশরাফির নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশেন। শুক্রবার বিকালে জীবাণুনাশক কক্ষটি স্থাপন করা করা হয়।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী, চিকিৎসক, নার্স, সাংবাদিক, অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ অন্যান্যদের সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এই জীবাণূনাশক কক্ষ স্থাপন করেছে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন।
হাসপাতালে ঢোকার সময় এই কক্ষের মধ্যে প্রবেশকারীর শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে ছেটানো হবে। ছেটানো এই স্প্রে জীবাণু ধ্বংসের একটি কার্যকর পদ্ধতি। যা ছেটালে শরীর ভিজবে না কিন্তু জীবাণু মরে যাবে।
আরও দুটি জীবাণুনাশক কক্ষ স্থাপনের কথা জানিয়েছেন মাশরাফির ছোট ভাই মোরসালিন বিন মুর্তজা। তিনি জানিয়েছেন, লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং জনগণের সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের জন্য দুটি জীবাণুনাশক কক্ষ শিগগিরই স্থাপন করা হবে।
করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকেই কাজ করে আসছেন মাশরাফি এবং তার ফাউন্ডেশন। করোনার প্রভাব বিস্তারে কয়েকদিনের মধ্যেই কর্মহীন হয়ে পড়েন নড়াইলের রিকশা-ভ্যানচালক, রাস্তার পাশের চা বিক্রেতা, হকাররা। সবার আগে এসব মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান মাশরাফি। এমন তিনশ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন তিনি।
এরপর বিভিন্নভাবে করোনা মোকবিলায় লড়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অধিনায়ক। কর্মহীন মানুষদের সাহায্যে বিসিবি থেকে পাওয়া এক মাসের বেতনের অর্ধেকটা দান করেন মাশরাফি। নিজ অর্থায়নেই নড়াইলে ১ হাজার ২০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন তিনি।
ডাক্তার ও সংবাদকর্মীদের সুরক্ষার ব্যাপারটিও মাথায় রেখেছেন মাশরাফি। নিজ অর্থায়নেই নড়াইলের ডাক্তার ও সংবাদকর্মীদের জন্য ৫০০ পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকশন ইক্যুয়েপমেন্ট) দিয়েছেন তিনি। এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে তার নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম। এবার করোনাযুদ্ধে যুক্ত হলো তার ফাউন্ডেশনের জীবাণূনাশক কক্ষ।