মেসিদের ক্লাবের সাবেক সভাপতি গ্রেপ্তার
বার্সেলোনার সভাপতি পদে থাকা অবস্থায় লিওনেল মেসি, পেপ গার্দিওলা, জেরার্ড পিকেদের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্নাম ছড়াতে একটি প্রতিষ্ঠানকে টাকা দিয়েছেন জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ- এতদিন এটা অভিযোগ ছিল। বিষয়টি তদন্ত করে আসছিল স্প্যানিশ পুলিশ ফোর্ম মোসোস দেসক্রাদ্রা। অবশেষে এই অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি বার্তোমেউ। তার সঙ্গে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে স্প্যানিশ পুলিশ ফোর্সটি।
সোমবার সকালে বার্সেলোনার অফিসে অভিযান চালায় মোসোস দেসক্রাদা। এরপর বার্সার সাবেক সভাপতি বার্তোমেউসহ চারজনকে প্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ রেডিও কাদেনা সের।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, বার্তেমেউর সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার বোর্ডে বার্সেলোনার মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করা অস্কার গ্রাউ এবং সে বোর্ডেই আইনি সেবার দায়িত্বে থাকা রোমান গোমেজ পন্তিকে। এ ছাড়া বার্তেমেউর উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা জাউমে মাসফেরারকেও গ্রেপ্তার করেছে মোসোস দেসক্রাদা।
নিজের ক্লাবেরই ফুটবলার, কোচের নামে কুৎসা রটানোর জন্য 'আই থ্রি' নামের একটি প্রতিষ্ঠান টাকা দিয়েছেন বার্তোমেউ, গত বছরের শুরুর দিকে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে। যদিও শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন বার্তোমেউ।
বার্তোমেউর এই কেলেঙ্কারীটি 'বার্সাগেট'নামে পরিচিত। আই থ্রির কাজ ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক-টুইটারে বার্সার সমর্থকদের কাছে বার্তোমেউর সুনাম বাড়ানো এবং তার সমালোচনা করা সাবেক ও বর্তমান তারকাদের নামে কুৎসা ছড়ানো। আই থ্রি ফেসবুক-টুইটারে অসংখ্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অনেক পোস্ট ও মন্তব্য করতে থাকে।
বার্তোমেউর বোর্ডের অধীনে চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। এ নিয়ে মেসির ওপর নাখোশ ছিলেন বার্তেমেউ। যে কারণে মেসি ও তার স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্নাম ছড়াতে থাকে আই থ্রি। সে সময় জেরার্ড পিকের সমালোচনা করা হয় তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে। কোচ পেপ গার্দিওলা, অধিনায়ক জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, কার্লোস পুয়োলদের নিয়েও কুৎসা রটানো হয়েছিল।
এ কাজ করাতে আই থ্রির সঙ্গে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ডের গোপন চুক্তি করেন বার্তোমেউ। বিষয়টি চাপা থাকেনি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্প্যানিশ রেডিও কাদেনা সেরে এই গোপন চুক্তির খবর প্রকাশ হয়। এই খবরে ক্লাবের আটজন সদস্য পুলিশের কাছে বার্তোমেউর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বোর্ড থেকে একসঙ্গে পদত্যাগ করেন ছয়জন পরিচালক।