সুপার টুয়েলভে ওঠা নামিবিয়াই বিশ্বকাপের দল গড়তে গিয়ে বিপাকে পড়েছিল
শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হয়েছিল নামিবিয়ার। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৯৬ রানেই গুটিয়ে যায় দলটি। এত অল্প রানে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানো সম্ভব হয়নি, লঙ্কানদের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে ২৫ লাখ ৪১ হাজার জনসংখ্যার দেশটি।
অনেকে হয়তো প্রথম ম্যাচের পরই নামিবিয়ার ভাগ্য নির্ধারণ করে ফেলেছিল। কিন্তু ১৮ বছর পর ক্রিকেটের কোনো বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলটি পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায়। নেদাল্যান্ডসকে হারিয়ে বাঁচিয়ে রাখে সুপার টুয়েলভ খেলার স্বপ্ন।
তৃতীয় ম্যাচেও হার না মানা নামিবিয়ার দেখা মেলে। ইতিহাস গড়ার পথে এবার তাদের শিকার আয়ারল্যান্ড। দারুণ এক জয়ে প্রথমবারেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নেয় আইসিসির সহযোগী দেশটি। তাদের এ পথটা অনেক রোমাঞ্চিত মনে হবে সবার কাছে। তবে তাদের এখানে আসার পথটা ছিল দুর্গম, কাটা বেছানো।
সুপার টুয়েলভে বাঘা বাঘা দলের বিপক্ষে লড়াই করতে যাওয়া এই নামিবিয়াই বিশ্বকাপের দল গড়তে গিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছিল। স্কোয়াড গড়ার জন্য মাত্র ১৮ জন ক্রিকেটার ছিল তাদের হাতে। সেখান থেকে ১৫জন ক্রিকেটার বেছে নেয় টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ১৯ নম্বর দল নামিবিয়া।
স্কোয়াড গড়ার বিষয়টি জানিয়েছেন নামিবিয়ার কোচ পিয়েরে ডি ব্রুইন নিজেই। তিনি বলেন, 'অনেক সম্পদ থাকাদের মতো আমরা অমন কোনো সংগঠন নই। ১৮ জন খেলোয়াড়ের মধ্য থেকে আমাকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিতে হয়েছে। আমি জানি, তারা গত তিন বছর কী করেছে। শুনতে গতানুগতিক মনে হতে পারে, কিন্তু এটা কঠোর পরিশ্রমের ফল এবং এই খেলোয়াড়দের নিয়ে আমি উচ্ছ্বসিত।'
দলের ওপর আস্থা রেখে সুপার টুয়েলভে চমকের আশায় নামিবিয়া কোচ। তিনি বলেন, 'খুবই রোমাঞ্চিত আমরা। এখানে কী ঘটল, সেটা বারবার নিজেকে মনে করাতে হচ্ছে। সময় এসেছে যা করেছি তা নিয়ে ভাবার এবং উপভোগ করার। কিন্তু তার মানে এই না যে আমরা চুপচাপ বসে থাকব। ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা খেলোয়াড়দের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা। ব্যাটিং, বোলিং বা ফিল্ডিং; যাই করি না কেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই আমরা। সেই অপেক্ষাতেই আছি।'