‘কোহলিকে দেখলে নিজেকে নিয়ে লজ্জা লাগতো’
বর্তমান সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান কে? দুটি নাম বললেও সেখানে একটি নাম থাকবে বিরাট কোহলি। ভারতীয় অধিনায়ক ব্যাট হাতে উইকেটে নামলেই রানের ফোয়ারা বয়ে যায়। এরই মধ্যে টেস্ট এবং ওয়ানডে মিলিয়ে নামের পাশে ৭০টি সেঞ্চুরি যোগ করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। যা বর্তমান সময়ে খেলা যেকোনো ব্যাটসম্যানের চেয়ে অনেক বেশি।
এ তো গেল ব্যাটসম্যান কোহলি, অ্যাথলেট কোহলি কেমন? ফিটনেসে ভারতীয় অধিনায়কের অবস্থান কেমন? এই তালিকাতেও সবার আগে কোহলি। নিজেকে ফিট রাখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে সময় ব্যয় করেন তিনি। কেবল ভারতীয় দলের মধ্যেই নয়, ক্রিকেট খেলুড়ে যেকোনো দলের খেলোয়াড়দের চেয়ে ফিটনেসে এগিয়ে তিনি।
ফিটনেস ঠিক রাখতে কোহলি কীভাবে জিমে ঘাম ঝরান, কতটা কষ্ট করেন; সেটা দেখেছেন তামিম ইকবাল। যা দেখে নিজেকে নিয়ে লজ্জাই পেয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। তামিম নিজেই এটা জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি অবস্থায় ক্রিকেটভক্তদের বিনোদন দিতে লম্বা সময় ধরে ফেসবুকে লাইভ করেছেন তামিম। আড্ডা দিয়েছেন দেশি-বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে। সোমবার রাতে তামিম অতিথি হয়েছিলেন ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকফোর।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের সঙ্গে ভিডিও আলাপচারিতায় কোহলির ফিটনেস নিয়ে কথা বলেন তামিম। ভারতীয় অধিনায়কের পরিশ্রম দেখে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হন তামিম। কোহলির পথটা অনুসরণ করবেন বলে তখনই ঠিক করেছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
তামিম বলেন, '২-৩ বছর আগে যখন আমি বিরাট কোহলিকে দেখেছি জিমে কাজ করতে, রানিং ও অন্য সবকিছু, নিজেকে নিয়ে লজ্জা লাগতো আমার। আমার এটা বলতে একটুও লজ্জা নেই। সত্যিই নিজেকে নিয়ে লজ্জা লাগতো।'
তামিম আরও বলেন, 'মনে হতো, এই ছেলেটি সম্ভবত আমার বয়সীই। এই ধরনের কাজ করছে, এত ট্রেনিং করছে ও সাফল্য পাচ্ছে, আমি হয়তো তার অর্ধেকও করছি না। তার পর্যায়ে যেতে না পারি, অন্তত তার পথ তো অনুসরণ করার চেষ্টা করতে পারি। হয়তো তার ৫০ ভাগ, ৩০-৪০ বা ৬০ ভাগ, যেটাই হোক।'
ফিটনেস নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যে চার-পাঁচ বছর আগেও খুব একটা সচেতন ছিলেন না, সেটাও জানিয়েছেন তামিম। তিনি বলেন, 'খেলায় ফিটনেসের গুরুত্বটা বুঝতে অনেক সময়ে লেগেছে আমাদের। গত তিন-চার বছরে হয়তো আমরা বুঝতে পারছি, যথেষ্ট ফিট থাকতে হবে, টিভিতে যেন ভালো দেখায়। বিশাল পেট নিয়ে যেন মাঠে নামতে না হয়।'
তামিমের ধারণা ছিল রান করলেই হলো, আর কিছুর দরকার নেই। কিন্তু এ ধারণা পাল্টেছে তার। অভিজ্ঞ এই ওপেনার বলেন, 'যতক্ষণ রান করছি, আমাকে কেমন দেখাচ্ছে, সেটা কোনো ব্যাপার নয়। এমন বাজে ধারণা ছিল আমার। ২০১৫ সাল থেকে আমার ওজন ৯ কেজি কমেছে। ওই সময়টায় ফিটনেস নিয়ে অনেক খাটতে শুরু করি আমি। কৃতিত্ব দিতে হবে আমাদের ট্রেনারকেও।'