‘সিনিয়রদের সম্পর্কে আমাদের জানা আছে, জানি কী পারে, না পারে’
জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সরিয়ে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহোনকে। এ ছাড়া নতুন ও তরুণদের দিয়ে দল সাজানো হয়েছে, যেখানে নেই তিন সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। সাকিব ছুটি নিয়েছেন, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।
তরুণদের বাজিয়ে দেখতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। বিসিবির এই পরিচালক ও জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর জানান, জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি দলে সিনিয়র এই তিন ক্রিকেটার নেই বলে তার বাদ হয়ে গেল, ব্যাপারটি তেমন নয়। তাদের সামর্থ্য জানা আছে, সময় এবার অন্যদের যাচাই করে দেখার।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খালেদ মাহমুদ বলেন, 'এটা তো ব্যাটন (নেতৃত্ব)। কাউকে না কাউকে তো ব্যাটন নিতেই হবে। তামিম, রিয়াদ, সাকিব, মুশফিক, মাশরাফি আজ দলে নেই, এরা তো বাংলাদেশ ক্রিকেটের আইকন। এরা তো সারা জীবন খেলবে না। এটা কোনো পরীক্ষা নয়। আমার মনে হয়, এই একটা সংস্করণে এখনও আমরা নিজেদের মেলে ধরতে পারিনি। রিয়াদ, মুশফিক, সাকিব যে এই সংস্করণ থেকে বাদ হয়ে গেল, ব্যাপারটা এমন নয়।'
তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য সফরটি পরীক্ষার, যদিও খালেদ মাহমুদ বলছেন তেমন কিছু নয়। তার ভাষায়, 'চরম পরীক্ষা বলতে, আমরা কিছু ছেলেকে দেখতে চাই। যারা সম্ভাবনাময়, তাদের নিজেদের সেরা জায়গায় খেলিয়ে ওদের আমরা দেখতে চাই, কী করে।'
অভিজ্ঞদের সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'সিনিয়রদের সম্পর্কে আমাদের জানা আছে। জানি কী পারে, না পারে। খেলোয়াড়দের পুরো সিরিজে সুযোগ দেওয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। একটা ম্যাচ খেলার পর গ্যাপ দিয়ে আরেকটা ম্যাচ খেলিয়ে তো বিচার করা যায় না। এর জন্য একটু সময় দেওয়াও দরকার। একটা না একটা সময় আমাদের তো ঘুরে দাঁড়াতে হবেই। পালাবদলের সময় যে এখনই শুরু হয়ে গেছে সেটা বলব না। এখনও সিনিয়র খেলোয়াড়দের মধ্যে সামর্থ্য আছে। জুনিয়র খেলোয়াড়দের মধ্যে ঠিক মতো তুলে ধরাটাও আমাদের কাজ।'
টি-টোয়েন্টি দল ঢেলে সাজালেও ওয়ানডেতে এমন সুযোগ দেখেন না খালেদ মাহমুদ। দল ভালো করতে থাকায় এই ফরম্যাটে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিপক্ষে তিনি, 'আমাদের ওয়ানডে দল আমরা স্পর্শই করতে পারব না, সেখানে পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে। এখানে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারব না। টেস্ট ক্রিকেট, আমি মনে করি অভিজ্ঞদের জায়গা।'
'একটাই মাত্র ফরম্যাট, যেখানে নতুন কাউকে দেখতে পারি; সেটা হলো টি-টোয়েন্টি। সত্যি বলতে জিম্বাবুয়েতে যদি আমরা ৩-০ ব্যবধানে হেরে যাই, তবুও আমি বিন্দুমাত্র হতাশ হবে না। কারণ, আমি এই চাপ ওদের দিতেই চাই না। আমি চাই ওরা স্বাধীনতা নিয়ে খেলুক, মুক্ত হয়ে খেলুক। ওদের শারীরিক ভাষা কী আছে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আমরা টি-টোয়েন্টির মতো খেলতে পারি কিনা, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।' যোগ করেন তিনি।