দুপুরে ঢাকা পৌঁছাবে সাফজয়ী বাংলাদেশ দল
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা হাতে উঠেছে সোমবার। পরের দিন নেপালে ঘুরে বেড়ানো, শপিং আর দাওয়াতে কেটেছে নারী ফুটবল দলের। এবার বীরের বেশে দেশে ফেরার পালা। স্বপ্নের শিরোপা নিয়ে আজ দুপুরে বাংলাদেশে এসে পৌছাঁবে সাবিনা খাতুনের দল। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ঢাকা পৌঁছাবে বাংলার অদম্য মেয়েরা।
ইতিহাস গড়ে আসা বাংলাদেশের মেয়েদের বরণ করে নিতে নানা আয়োজন করেছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও বাফুফে। বর্ণাঢ্য অভ্যর্থনা পর্বে বিমানবন্দর থেকে ছাদ খোলা বাসে শোভাযাত্রা করে বাফুফে ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে চ্যাম্পিয়ন দলটিকে। প্রথমবারের মতো সাফ জেতা মেয়েদেরই সুযোগ হচ্ছে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ছাদ খোলা বাসে উদযাপন করার।
এবারের সাফটা স্বপ্নের মতো কেটেছে বাংলাদেশের মেয়েদের। টুর্নামেন্টে দাপুটে শুরুর পর কেবল শাসনই করে গেছে বাংলাদেশ। টানা জয় তুলে নেওয়ার পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছেন সাবিনা, কৃষ্ণা, স্বপ্নারা। আসরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ছন্দ ধরে রাখা বাংলাদেশ কোনো ম্যাচে না হেরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে হারিয়ে মিশন শুরু করা বাংলাদেশ পরের ম্যাচে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেয় ৬-০ গোলে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারত প্রতিপক্ষ হওয়ায় ভয় ছিল, তবে সেই ভয়কে জয় করে বাংলাদেশ ছিনিয়ে নেয় ৩-০ গোলের জয়। যা ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়। সেমি-ফাইনালে ভুটানকে নিয়ে ছেলেখেলা করা বাংলাদেশের মেয়েরা জেতে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে।
দারুণ ছন্দ, বিশাল বিশাল সব জয়; তবু ফাইনালে ছিল মানসিক বাধা। আগের আট সাক্ষাতের একটিতেও যে নেপালের বিপক্ষে জয় ছিল না সাবিনাদের। কিন্তু আগের কিছুই মনে না রেখে ভয়ডরহীন ভুটবল খেলে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরুতেই শামসুন্নাহারের গোলে এগিয়ে যাওয়া, পরে কৃষ্ণার জোড়া গোল। নেপাল একটি গোল শোধ করলেও ব্যবধান থেকে যায়। ৩-১ গোলের জয়ে শিরোপার উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ।
দলের মতো দুর্বার ছিলেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুনও। দুটি হ্যাটট্রিকসহ ৮ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন তিনি, জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও। আসরে ২৩ গোল দেওয়া বাংলাদেশ হজম করেছে মাত্র এক গোল। নিজেদের গোলপোস্ট সামলে রাখা রুপনা চাকমা জিতেছেন সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। শিরোপার পাশাপাশি ফেয়ার প্লে ট্রফিও উঠেছে বাংলাদেশের ঝুলিতে।