বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ সাব্বির-সাইফউদ্দিন, নেওয়া হলো সৌম্য-শরিফুলকে
ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। এরপর থেকে যোগ-বিয়োগ নিয়ে আলোচনা। দুদিন পরই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত মাসে ঘোষিত দলে থাকলেও বাদ দেওয়া হলো ব্যাটসমান সাব্বির রহমান ও অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে। তাদের জায়গায় নেওয়া হয়েছে সৌম্য সরকার ও শরিফুল ইসলামকে।
আইসিসির নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো কারণ ছাড়াই বিশ্বকাপের দলে পরিবর্তন আনা যাবে। সেই সুযোগটাই কাজে লাগালো বিসিবি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ও ত্রিদেশীয় সিরিজের পারফরম্যান্স বিবেচনায় এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। যদিও পরিবর্তন দুটি আনতে বিস্তর আলোচনা চলেছে বিসিবির উপর মহলে।
এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার নির্বাচকদের নিয়ে সভায় বসেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, পরের দিন এলো সিদ্ধান্ত। এই দুই পরিবর্তনের বিষয়টি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে বিসিবি। নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে আসছেন সাব্বির ও সাইফউদ্দিন।এ বিষয়ে বিসিবির এই পরিচালক বলেন, '
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করে বিসিবি। সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত ছিল টি-টোয়েন্টির সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বাদ পড়া। সেই দলে রাখা হয় সাব্বির রহমানকে। কিন্তু এশিয়া কাপ দিয়ে দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান কিছুই করতে পারেননি। আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি সাব্বির। ওপেনার হিসেবে চার ম্যাচে ৩১ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে তার ওপরে ভরসা রাখতে চায় না বিসিবি।
সাইফউদ্দিনের ক্ষেত্রেও তাই, ডানহাতি এই পেসার নিজের ছায়া হয়ে উঠেছিলেন। আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকা সাইফউদ্দিন ত্রিদেশীয় সিরিজেও সুবিধা করতে পারেনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৭ রানে ২ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশ পেসার শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে চরম হতাশার পারফরম্যান্স করেন। ৩.৫ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি। এ ছাড়া ক্যাচ ফেলাসহ গ্রাউন্ড ফিল্ডিংও মিস করেন করেন তিনি।
ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপের দলে স্ট্যান্ড বাই হিসেবে রাখা হয় সৌম্য ও শরিফুলকে। দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে যান এ দুজন। উদ্বোধনী জুটির সমস্যা না কাটাতে পেরে তৃতীয় ম্যাচে সাব্বির-মিরাজকে বাদ দেওয়া হয়। একাদশে জায়গা হয় সৌম্যর, সুযোগ পেয়ে ১৭ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ বলে ৪ রান করেন তিনি। তেমন পারফরম্যান্স না করলেও অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন ও ব্যাটিংয়ে ইতিবাচক মানসিকতার কারণে সৌম্যকে দলে নেওয়া হয়েছে।
শরিফুল আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেন। ৩.৪ ওভারে ২১ রানে নেন ৩ উইকেট। ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনটি ম্যাচ খেলা বাঁহাতি তরুণ এই পেসার খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। তিন ম্যাচেই ৩০ রানের বেশি করে খরচ করা শরিফুল উইকেট নিয়েছেন দুটি। তবে বাদ পড়া সাইফউদ্দিনের তুলনায় বোলিংয়ের ছন্দ ও ইকোনমি ভালো থাকায় তাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক) লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলী রাব্বি, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।