তিউনিশিয়ার দাপটের ম্যাচে শেষ হাসি অস্ট্রেলিয়ার
ডেনমার্ককে রুখে দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিলো তিউনিশিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও দারুণ কিছুর আশায় ছিল আফ্রিকা অঞ্চলের দেশটি। ম্যাচে সেই দারুণ পারফরম্যান্সের দেখাও মিললো। বল দখলের লড়াই থেকে শুরু করে আক্রমণ সাজানো; সবখানেই দাপট দেখালো তিউনিশিয়া। কিন্তু কাজের কাজটিই করা হলো না, খুঁজে পাওয়া গেল না জালের ঠিকানা। শাসন হজম করেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো এশিয়া অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে খেলা অস্ট্রেলিয়া।
শনিবার কাতারের আল জানোব স্টেডিয়ামে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে তিউনিশিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে প্রথমে গোল দিয়েও বড় ব্যবধানে হারা অজিরা ফিরলো লক্ষ্যের কক্ষপথে। দুই ম্যাচে এক জয় ও এক হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে তারা। উড়ন্ত সূচনা করা ফ্রান্স শীর্ষে। এক ড্রয়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে ডেনমার্ক। ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানির দল তিউনিশিয়া।
পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়ে খেলেছে তিউনিশিয়া, দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে আরও ধার বাড়ে তাদের খেলার। ম্যাচে ৫৮ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে তিউনিশয়া। অবিরত আক্রমণে অস্ট্রেলিয়ার গোলমুখে ১৪টি শট নেয় তারা, এর মধ্যে ৪টি ছিল লক্ষ্যে। ৪২ শতাংশ বল দখলে রাখা অস্ট্রেলিয়া গোলমুখে ৯টি শট নেয়, এর মধ্যে ২টি ছিল লক্ষ্যে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা ফুরালো অস্ট্রেলিয়ার, ১২ বছর পর বিশ্বকাপে জয়ের স্বাদ পেলো তারা।
ধীর গতিতে শুরু হওয়া ম্যাচের ১৯তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে যায় তিউনিশিয়া। সতীর্থের পাস থেকে ডি-বক্সে ভালো জায়গায় বল পান ইউসেফ মাসাকনি, কিন্তু প্রতিপক্ষের দারুণ চেষ্টায় শট নিতে পারেননি তিনি। তিন মিনিট পরই এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে না তাকিয়েই নিখুঁত হেডে বল জালে হড়ান করেন ফরোয়ার্ড মিচেল ডিউক। জাতীয় দলের হয়ে এটা তার নবম গোল।
অস্ট্রেলিয়ার গোলে দায় আছে তিনিউনিসিয়ার রক্ষণের। ডিউক হেড নেওয়ার সময় কাছাকাছি ডিফেন্ডার থাকলেও তাকে কেউ চ্যালেঞ্জ জানায়নি। তবে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণ খুব জমাট ছিল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুই মিনিটের ব্যবধানে ভালো দুটি আক্রমণ করে তিউনিসিয়া। কিন্তু মাসাকনির পর মোহামেদ দ্রাগারের ডি-বক্সে নেওয়া শট প্রতিহত করে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণভাগ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। এই সুযোগে চাপ বাড়ায় তিউনিশিয়া, একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার জমাট রক্ষণের কারণে বারবার ব্যর্থ হয় তিউনিশিয়ার। শেষ দিকে আরও কিছু সুযোগ তৈরি করে তারা। তবুও মেলেনি কাঙ্খিত গোলের দেখা। তাই দাপুটে ফুটবল খেলেও হারের যন্ত্রণা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় দেশটিকে।